সিলেটের বিশ্বনাথে ‘বিশ্বনাথ ইউকে ইউথ ইন্সটিটিউট’ এর আয়োজনে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী পিঠা উৎসব, পূর্ণমীলনী এবং ইজি ভিসার শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।বুধবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীদের হাতে তৈরি বিভিন্ন ধরনের পিঠার প্রদর্শনীতে ক্যাম্পাস ছিল উৎসবমুখর।
ইন্সটিটিউটের মিলনায়তনে আয়োজিত পিঠা উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ ছিল বাঙালি গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী পিঠাগুলোর প্রদর্শন। উৎসবে চিতই পিঠা, ভাপা পিঠা, পুলি পিঠা, পাটিসাপটা, নারকেলের পুলি, দুধ পিঠা সহ নানা ধরনের পিঠার স্টলে দর্শনার্থীদের ছিল উপচে পড়া ভিড়।
বিশ্বনাথ ইউকে ইউথ ইন্সটিটিউটের ইনচার্জ জামাল উদ্দিন সভাপতিত্বে এবং সালেহ আহমদরে সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, বিশ্বনাথ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী দয়াল উদ্দিন তালুকদার, দশঘর এন ইউ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হান্নান, হাজী মফিজ আলী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষিকা ফাতেমা বেগম, বিশ্বনাথ স্পোর্টস ডেভেলপমেন্ট ট্রাস্ট ইউকে’র অর্থ সম্পাদক আব্দুল আলীম, সাবেক হেলথ ইন্সপেক্টর ডাক্তার নজরুল ইসলাম, ইলামেরগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিরঞ্জন চন্দ্র দাস, উপজেলা ধারাভাষ্যকার এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আরকুম আলী, ইউকে ইউথ ইন্সটিটিউটের সিনিয়র অফিস এক্সিকিউটিভ জমির আহমদ, হেড অফ আইটি ডিপার্টমেন্ট জিয়াউল হক, আইএলটিএস ইন্সট্রাক্টর বাবলু বৈদ্য, কম্পিউটার শিক্ষক জাহেদ আহমদ, মডারেটর লিমা বেগম এবং ফাহিমা বেগম।
অনুষ্ঠানে বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন, এই পিঠা উৎসব বাঙালির ঐতিহ্যকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার এক অনবদ্য উদ্যোগ। এটি দেশের গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের জীবন্ত প্রমাণ হিসেবে কাজ করবে এবং আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে সবার মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করবে।
বিশ্বনাথ ইউকে ইউথ ইন্সটিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা মাহফুজুল ইসলাম কল্লোল বলেন, “আমাদের লক্ষ্য ছিল প্রাক্তন ও বর্তমান প্রজন্মকে একত্রিত করা এবং আমাদের ঐতিহ্যকে নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়া। আমরা আশা করি, ভবিষ্যতেও এ ধরনের আয়োজন অব্যাহত থাকবে।”
শুরুতে কোরআন থেকে তেলোয়াত করেন সালেহ আহমদ এবং শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন আইএলটিএস লাইফ স্কিলস শিক্ষক সিতাব আলী।