৫ সন্তানকে সুশিক্ষিত করে সফল জননীর খেতাব পেলেন বিশ্বনাথের বিলকিছ বেগম

Ayas-ali-Advertise
সফল জননীর খেতাব পেলেন বিশ্বনাথের বিলকিছ বেগম
সফল জননীর খেতাব পেলেন বিশ্বনাথের বিলকিছ বেগম।
সফল জননীর খেতাব পেলেন বিশ্বনাথের বিলকিছ বেগম
সফল জননীর খেতাব পেলেন বিশ্বনাথের বিলকিছ বেগম।
Facebook
Twitter
WhatsApp

বিশ্বনাথের পল্লীগাঁয়ের বিলকিছ বেগম নানান প্রতিকূলতা স্বত্তেও আপন পাঁচ সন্তানকে সুশিক্ষিত করে সফল জননীর খেতাব অর্জন করেছেন । গত ৯ ডিসেম্বর বেগম রোকেয়া দিবসে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে বিশ্বনাথের সফল এই নারীকে সফল জননী হিসেবে “জয়িতা” পদকে ভূষিত করে।

জানাগেছে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার অভাব, প্রবাসীর স্ত্রী হওয়ায় স্বামীর অনুপস্থিতি, প্রত্যন্ত এলাকায় বসবাস, সমাজের বাঁধা-নিষেধ ইত্যাদি নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও সৃষ্টিকর্তার প্রতি অগাধ বিশ্বাস রেখে দূর্বার ও অদম্য চেতনা নিয়ে নিজের পাঁচ সন্তানকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে আজ সিলেট জেলার বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়নের একজন জয়িতা ‘বিলকিছ বেগম’। পাহাড়সম প্রতিকূলতা ডিঙ্গিয়ে তিনি আজ তাঁর নিজ বলয়ে সমহিমায় উজ্জ্বল এক সফল জননী।

বিলকিছ বেগম ১৯৭১ সালে সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলার জিয়াপুর গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মাওলানা আমিন উদ্দিন ও সফিকা খাতুনের ৩য় সন্তান এবং বড় মেয়ে। সাত ভাইবোনের সংসারে তাঁর শৈশব ও কৈশোরকাল কাটে অন্য সাধারণ কিশোরীর মতই। বিলকিছ বেগমের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন নিজের গ্রামের প্রাইমারি স্কুলে। পারিবারিক এবং সামাজিক প্রতিবন্ধকতার কারণে সেখানেই তার নিজের শিক্ষা জীবনের সমাপ্তি ঘটে। নিজের প্রতিভার বিকাশ ঘটাতে না পারলেও সন্তানদের লালন-পালন ও তাদের শিক্ষার ব্যবস্থা করা এবং তাদেরকে প্রতিষ্ঠিত করে তোলেন।

পিতা মাতার ইচ্ছায় ও পারিবারিক সিদ্ধান্তে ১৯৮৯ সালে অনেকটা কম বয়সেই বিলকিছ বেগমের বিয়ে হয় আরশ আলীর সাথে। তাঁর স্বামী প্রায় চল্লিশ বছর ধরে সৌদি প্রবাসী ছিলেন। তাঁর শ্বশুর বাড়ি সিলেট বিভাগের বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজি ইউনিয়নের মিরপুর গ্রামে। স্বামী প্রবাসে থাকার কারণে দীর্ঘ সময় ধরে বিভিন্ন প্রতিকূল পরিবেশে একাই পরিবার সামলাতে হয়েছে। স্বামীর অনুপস্থিতিতেও তিনি নিজের সন্তানদের সুশিক্ষিত করে তোলার জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছেন।

বিলকিছ বেগম পাঁচ সন্তানের গর্বিত জননী

তার ১ম সন্তান তাসলিমা ইয়াসমিন ইউনিভার্সিটি অফ বার্মিংহাম থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। বর্তমানে তিনি শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত আছেন। ২য় সন্তান শাহরিয়ার মোঃ লোকমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেছেন। তিনি বর্তমানে জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেড এর সহকারী ব্যবস্থাপক পদে কর্মরত আছেন। ৩য় সন্তান আবু তাহের মোঃ সালমান সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে এমবিবিএস সম্পন্ন করেছেন। তিনি বর্তমানে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নিউরো সার্জারি বিষয়ে ফেলোশিপ ট্রেইনিং এ আছেন। এছাড়াও ইংল্যান্ডের রয়েল কলেজ থেকে তিনি এম আর সি এস পার্ট-এ সম্পন্ন করেছেন। ৪র্থ সন্তান গিলমান মোঃ রেজুয়ান শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী এবং ৫ম সন্তান মারওয়ানা ইয়াসমিন লুবাবা ব্লু-বার্ড স্কুল এন্ড কলেজের ১০ম শ্রেণীর বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী এবং আসন্ন ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী।

৫ সন্তানকে সুশিক্ষিত করে সফল জননীর খেতাব পেলেন

বিলকিছ বেগমের সবচেয়ে বড় অর্জন তিনি পাঁচ সন্তানকে সুশিক্ষিত ও সফল করে তুলেছেন। তিনি একজন আদর্শ মাতার প্রতিকৃতি। তাঁর জীবনকাহিনী অনেক মায়ের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হতে পারে।

নিজের জীবনে বিভিন্ন বাঁধা-নিষেধের কারণে শিক্ষাগ্রহণ করা হয় নি বিলকিছ বেগমের। শিক্ষার প্রতি তীব্র অনুরাগের দরুণ চেয়েছিলেন সব সন্তানকে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করতে। কিন্তু এ যাত্রা এত সহজ ছিল না। এতে ছিল পর্বতসম বাঁধা- বিপত্তি। নিজের সীমাবদ্ধতা, স্বামীর অনুপস্থিতি, ভাল স্কুল-কলেজের অভাব ইত্যাদি কারণে প্রতিনিয়ত ঝামেলায় পরিপূর্ণ ছিল সংগ্রামী এ জীবন।

মিরপুর গ্রাম টি প্রত্যন্ত এলাকা হওয়ার দরুণ রাস্তাঘাট ছিল অনুন্নত, বিদ্যুৎ ছিল না। গ্রামে কোন স্কুল বা মাদ্রাসা ও ছিল না। ভাল কোন উপায় না পেয়ে বড় মেয়ে ও ছেলেকে ধর্মীয় শিক্ষার জন্য এলাকার মসজিদের মক্তবে ও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার জন্য মিরপুর হতে একটু দূরের গ্রামে ভূরকী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করান। শুষ্ক মৌসুমে বিদ্যালয়ে যেতে পারলেও বর্ষা মৌসুমে ছেলেমেয়েরা বিদ্যালয়ে যেতে পারতো না। আবার গরমের মৌসুমে ছিল অতি গরমের সমস্যা যেহেতু বিদ্যুৎ সংযোগ তখন ছিল না। একান্নবর্তী/যৌথ পরিবার হওয়ায় এবং শত বিধি-নিষেধের কারণে ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার জন্য আলাদা ব্যবস্থা করার সময় এবং সুযোগ কোনটাই হয়ে ওঠে নি বিলকিছ বেগমের। সারা গ্রামে এবং আশপাশের এলাকায় শিক্ষিত মানুষ ছিল না বললেই চলে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই একটু বড় হলে ছেলেরা কৃষিকাজে যোগদান করত কিংবা বিদেশ যেত। আর মেয়েরা অল্প বড় হওয়ার সাথে সাথেই বিয়ে দেওয়া হতো। এমতাবস্থায়, শিক্ষার নূন্যতম সুযোগ সুবিধা ছিল না। সঙ্গত কারণেই সার্বিক বিবেচনায় ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উৎকণ্ঠা কাজ করছিল দূরদর্শী বিলকিছ বেগমের। কিন্তু বিলকিছ বেগমের চোখে মুখে ছিল “ছেলেমেয়েদের শিক্ষিত করার” এক অসাধ্য সাধন করার মতো স্বপ্ন আর মনে ছিল অদম্য স্পৃহা।

এই তাড়া দেওয়া স্বপ্নকে বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যেই নিজের সুবিধা-অসুবিধা, পরিশ্রমের কথা না ভেবেই শুধুমাত্র ছেলেমেয়েদের শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করতে বড় ভাইয়ের সহযোগিতায় ভাল স্কুল কলেজ সম্পন্ন ছাতক উপজেলার একটু উন্নত এলাকায় একটা বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাসের ব্যবস্থা করেন। বিলকিছ বেগম অন্যান্য চাহিদার সাথে আপোষ করলেও শিক্ষার ব্যয়ে কখনো কার্পণ্য করেন নি। শিক্ষার খরচকেই সব প্রয়োজনের ওপর প্রাধান্য দিয়ে আর্থিক পরিকল্পনা করতেন। স্বামী প্রবাসী থাকার দরুণ অবুঝ ও ছোট ছেলে মেয়েদের নিয়ে একাই দৌড়াতে হত বিভিন্ন প্রয়োজনে, কখনো পরীক্ষার কেন্দ্রে, কখনোবা হাসপাতালে। আবার সাথে রয়েছে ঘরের কাজকর্মও। প্রতিদিন এ যেন এক সীমাহীন পরিশ্রমের নির্ঘণ্ট পার করতে হত বিলকিছ বেগমকে। ২০০১ সালে যখন চতুর্থ সন্তানের জন্ম হয় তখন সাংসারিক জটিলতা ও কাজকর্মের মাত্রা আরো বেড়ে যায়। ভোর ৫ টা থেকে শুরু হলেও কাজকর্মের শেষ বলে কিছু ছিল না। সন্তানরা অসুস্থ হলে এ চাপের মাত্রা আরো বেড়ে যেত।

বাঁধা-বিপত্তি, সীমাবদ্ধতা, সীমাহীন পরিশ্রম ইত্যাদি নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হলেও মানসম্পন্ন শিক্ষার ব্যাপারে বিলকিছ বেগম ছিলেন আপোষহীন। বিলকিছ বেগমের এই অদম্য প্রচেষ্টার সফলতা প্রথম দেখা মিলে যখন ৫ম শ্রেণীতে সাধারণ গ্রেডে বৃত্তি লাভ করে। বিলকিছ বেগমের ঐকান্তিক প্রচেষ্টার আরেকটা চরম সফলতা যখন ২০০৫ সালে পঞ্চম শ্রেণীতে বড় ছেলে পুরো ছাতক উপজেলায় ১ম হয়ে ট্যালেন্টপুল গ্রেডে বৃত্তি লাভ করে। এভাবেই বিলকিছ বেগমের পরিশ্রমের সুফল ধরা দিচ্ছিল এবং সাথে সাথে ছেলেমেয়েরাও বড় হচ্ছিল। একসময় ছাতক উপজেলা হতেই বড় মেয়ে কৃতিত্বের সাথে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। মেয়ের ভাল রেজাল্টের দরুণ সিলেটের স্বনামধন্য সরকারী মহিলা কলেজে পড়ার সুযোগ হয়। কিন্তু মেয়ের নিরাপত্তা নিয়ে যেন অজানা এক উৎকণ্ঠার সূত্রপাত হয়। এ পর্যায়ে শত অসুবিধা, ভয়-উৎকণ্ঠা, আর্থিক-অনার্থিক শহরে জীবনযাত্রার মাত্রাতিরিক্ত ব্যয় ইত্যাদি উপেক্ষা করে শুধু মেয়ের নিরাপত্তা ও পড়াশোনার আরো উন্নত পরিবেশ নিশ্চিত করতেই বিলকিছ বেগম একটা সাহসী উদ্যোগ নিয়ে নিজের সিদ্ধান্তে অবিচল থেকে সর্বশক্তিমান আল্লাহর ওপর বিশ্বাস রেখে ছেলে মেয়েদের নিয়ে সিলেটে একটা বাসা ভাড়া নেন।

এ পর্যায়ে বিলকিছ বেগমের কর্মে উদ্দীপনা যেন আরো বেড়ে যায়। ছেলেমেয়েদের ভাল প্রাইভেট পড়ার ব্যবস্থা করেছিলেন, ভাল স্কুল-কলেজের ব্যবস্থা করেছিলেন। যোগ্য অভিভাবক না থাকায় অনেক সময় প্রতিষ্ঠানেও যাওয়া লাগতো। একই সাথে নিরাপত্তার জন্য ছেলেমেয়েদের সাথে থাকাও লাগতো ঘন্টার পর ঘন্টা। এইভাবেই চলছিল অদম্য জীবনযুদ্ধ। বিলকিছ বেগমের এই প্রচেষ্টার দরুণ ছেলেমেয়েদের শিক্ষার ভিত্তি অনেক মজবুত হয়েছিল। শিক্ষার ভিত্তি মজবুত থাকার দরুণ ২০১৩ সালে বড় ছেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘গ ইউনিট’ ভর্তি পরীক্ষায় ৫৮ তম মেধাস্থান নিয়ে ফিন্যান্স বিভাগে ভর্তির সুযোগ পায়। বিলকিছ
বেগমের কাছে এই সফলতায় আনন্দের মাত্রা ছিল আকাশছোঁয়া। সে সময় ছেলেকে প্রতিমাসে অতিরিক্ত খরচ হলেও ৮,০০০/-
টাকার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতেন শুধু ঢাবিতে পড়াশোনা সুষ্ঠুভাবে চালানোর জন্য। ২০১৭ সালে স্বামী অসুস্থ হয়ে দেশে ফিরে আসেন। ২০১৬-১৭ সালে স্বামীর অসুস্থতার মধ্যেও স্বস্তির নিশ্বাস আসে যখন মেজো ছেলে এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ,সিলেট এ এমবিবিএস কোর্সে পড়াশোনার জন্য চান্স পায়। সংবাদটি ছিল অনেক উচ্ছ্বাসের ও আনন্দের। ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে বিলকিছ বেগমের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা আরেকটি সফলতার মুখ দেখে যখন তৃতীয় সন্তান ও ছোট ছেলে একই সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ‘ক’ ইউনিটে ১৪৩৬ তম ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) তে ‘সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং’ বিভাগে ভর্তির সুযোগ পায়। বিলকিছ বেগমের ছোট মেয়ে মারওয়ানা ইয়াসমিন লুবাবা পিএসসি পরীক্ষাতে সব বিষয়ে জিপিএ ৫ অর্জন করে কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হয়। লুবাবা আসন্ন ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী।

বিলকিছ বেগমের চোখেমুখে স্বপ্ন ছিল ছেলেমেয়েদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলা, মানুষের মতো মানুষ বানানো। জীবনের নানা উত্থান-পতনেও তিনি ছিলেন তাঁর লক্ষ্যে অবিচল। প্রতি বছরই ছিল নানা চ্যালেঞ্জে কন্টকপূর্ণ। এর মধ্যেও ২০০৮ সালে সিজারিয়ান অপারেশন এবং ২০০৯ সালে এপেন্ডিসাইটিস অপারেশনের মত জটিল পরিস্থিতি সামাল দিয়েছিলেন। শত বাঁধা- বিপত্তি অতিক্রম করে ছেলেমেয়েদের শিক্ষিত করার মাধ্যমেই নিজের শিক্ষাজীবনের সার্থকতা খুঁজেছিলেন বিলকিছ বেগম।

তাইতো নিজে প্রায় অক্ষর জ্ঞানহীন এবং গ্রামের একজন সাধারণ নারী হয়েও দেশের ও বিদেশের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান থেকেএকে একে স্নাতক সম্পন্ন করিয়েছেন ৩ সন্তানকে, বাকি দুজনের মধ্যে একজন স্নাতক অধ্যয়নরত আর আরেকজন এসএসসি পরীক্ষার্থী। এই সংগ্রামী জীবনের মাধ্যমেই শত বাঁধা-বিপত্তি প্রতিকূলতা এড়িয়ে তাই এলাকায় সফল জননী হিসেবে অন্যসব সাধারণ নারীদের জন্য এক অনুকরণীয় নাম ‘বিলকিছ বেগম’।

বিলকিছ বেগম মেয়ে-জামাই এবং পুত্রবধূ পছন্দের ক্ষেত্রেও অন্য সবকিছুর ঊর্ধ্বে প্রাধান্য দিয়েছেন শিক্ষিত ও মনুষ্যত্ব গুণাবলীসম্পন্ন মানুষদের। এভাবেই শিক্ষিত ও সচেতন সমাজ সৃষ্টিতে অগ্রগণ্য ভূমিকা রেখে চলছেন বিলকিছ বেগম। প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম আলোকিত হোক বিলকিছ বেগমের এ সমাজ বিনির্মাণ ও জাগরণের স্বপ্নে।

বিলকিছ বেগমের জীবন সংগ্রামের সফলতার এই চিত্র হয়ে ওঠেছে তাঁর আশেপাশের সবার মুখের ধ্বনি- “স্বামী প্রবাসী আবার নিজে শিক্ষিত না হলেও বিলকিছ/বিলকিছ আপা/বিলকিছ ভাবী কত কষ্ট করে তাঁর পাঁচ সন্তানকে শিক্ষিত করে মানুষ করে তুলেছেন। বিলকিছ/বিলকিছ আপা/বিলকিছ ভাবীর জীবন আজ সার্থক”। নিজের এলাকা, পাড়া-প্রতিবেশি থেকে শুরু করে উপজেলা হতে উপজেলায় বিলকিছ বেগম যেন হয়ে ওঠেছেন ‘হার-না-মানা’ এক সফল জননী নারীর আদর্শ উদাহরণ। তাঁর এমন সফলতায় পশ্চাৎপদ অন্যান্য সাধারণ জননীরাও যেন উৎসাহ খুঁজে পান।

বিশ্বনাথনিউজ২৪ডটকম / বিএন২৪