সিলেটের বিশ্বনাথে দীর্ঘদিন ধরে আভ্যন্তরীণ কোন্দল ও বিরোধে জর্জরিত বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা এম. ইলিয়াস আলীর ছাত্রদল। সর্বশেষ বিশ্বনাথ সরকারী কলেজে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রদলের দু’গ্রুপের বিরোধ পৌঁছেছে তুঙ্গে। সম্প্রতি ছাত্রদলের এক পক্ষের হামলায় মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন অপর পক্ষের নেতা তামজিদ আহমদ।
এ ঘটনার পর তামজিদ আহমদ বাদী হয়ে গত ১৮ নভেম্বর সিলেটের দ্রুত বিচার আদালতে ছাত্রদলের অপর গ্রুপের ২৯ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং বিশ্বনাথ সি.আর ৭৬/২০২৪।
সিলেটের দ্রুত বিচার আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট ধ্রুব জ্যোতি পাল বাদীর দাখিলকৃত এজাহারটি আমলে নিয়ে সি.আর রেজিস্ট্রির নির্দেশ দেন। সেই সাথে তিনি মামলার তদন্তের জন্য বিশ্বনাথ থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জকে ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ এর মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন।
জানা যায়, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর বিশ্বনাথ সরকারী কলেজে ছাত্রলীগ ব্যতীত অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলো শুরু করে তাদের রাজনৈতিক কার্যক্রম। তবে কিছুদিন যেতে না যেতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিবাদে জড়িয়ে পড়ে ছাত্রদলের দুই গ্রুপ। উভয় পক্ষ অস্ত্রের মহড়াসহ সংঘর্ষে লিপ্ত হয় কলেজ ক্যাম্পাসে। এরপর এম. ইলিয়াস আলীর পত্নী ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তাহসিনা রুশদীর লুনা দু’গ্রুপকে ডেকে নিয়ে কঠোর দমক দেন। কিন্তু তাতেও কোনো কাজ হয়নি।
গত ১২ নভেম্বর, বিশ্বনাথ সরকারী কলেজ ছাত্রদল নেতা ও স্থানীয় কারিকোনা গ্রামের শামীম আহমদের পুত্র মো. তামজিদ আহমদ বিশ্বনাথ থেকে বাড়ি ফেরার পথে প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হন। এ ঘটনায় মারাত্মকভাবে আহত হন তিনি। এর প্রতিবাদে গত ১৪ নভেম্বর কলেজের মানববন্ধন করে প্রতিবাদ এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানায় শিক্ষার্থীরা। এরপর ১৮ নভেম্বর সিলেটের দ্রুত বিচার আদালতে ২৯ জনের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের করা হয়।
সর্ম্পকিত খবর: ৯ সদস্যের ভোটে শোচনীয়ভাবে পরাজিত হলেন চেয়ারম্যান আরশ আলী গণি
মামলায় আসামীদের মধ্যে রয়েছেন: শাহজিরগাঁও গ্রামের মখলিছ মিয়ার ছেলে রায়হান আহমদ (২৬), জানাইয়া গ্রামের মৃত আব্দুল খালিকের ছেলে সুজেল আহমদ (২৬), কালা মিয়ার ছেলে শাহ টিপু (২৯) এবং জিলু মিয়া (৩৮) রাজনগর গ্রামের লিয়াকত মিয়ার ছেলে রায়হান (২০), জানাইয়া গ্রামের মৃত তুতু মিয়ার ছেলে রুপা মিয়া (২৫), রামধানা গ্রামের লালা মিয়ার ছেলে শেখ সুহাগ (২৮), মোঃ কবির আহমদের ছেলে খালেদ আহমদ (২৬), জানাইয়া গ্রামের কালা মিয়ার ছেলে শাহ সনি (৩৩), দক্ষিণ মিরেরচর গ্রামের শামীম আহমদের ছেলে আল আমিন (১৯), জানাইয়া গ্রামের কালা মিয়ার ছেলে শাহ রুপন (২৭), শ্রীধরপুর গ্রামের আনফর আলীর ছেলে তাজেক আহমদ (৩৫), রাজনগর গ্রামের লিয়াকত মিয়ার ছেলে মিনহাজ আহমদ (২৬), টুকের কান্দি গ্রামের আব্দুল কাদিরের ছেলে কামরান হোসেন (২২) সহ অজ্ঞাতনামা ১০ থেকে ১৫ জনের নাম রয়েছে।