শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তৃতীয় দফায় রাজশাহীর সারদায় পুলিশ একাডেমিতে চূড়ান্তভাবে নিয়োগের জন্য সুপারিশপ্রাপ্ত ও প্রশিক্ষণরত আরও ৫৮ জন উপ-পরিদর্শককে (এসআই) অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সদর দপ্তরের মুখপাত্র ইনামুল হক সাগর।
তিনি জানান, শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্যই তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, কোনো রাজনৈতিক কারণে নয়। এর আগে ২৫২ জন এসআইকে একই কারণে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল। ফলে এ নিয়ে মোট ৩১০ জন এসআইকে অব্যাহতি দেওয়া হলো।
গত ২২ অক্টোবর অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এক বিবৃতিতে জানিয়েছিলেন যে, রাজশাহীর সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে প্রশিক্ষণরত ২৫২ জন উপপরিদর্শককে (এসআই) শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
অব্যাহতি প্রাপ্ত এসআইদের জন্য দেওয়া চিঠিতে উল্লেখ ছিল- আপনি বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে ৪০তম ক্যাডেট এসআই/২০২৩ ব্যাচের একজন সদস্য হিসেবে ২০২৩ সালের ৫ মে থেকে এক বছর মেয়াদি মৌলিক প্রশিক্ষণরত আছেন। গত ১ অক্টোবর মঙ্গলবার সকাল ৭টা ২৫ মিনিটে বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির প্যারেড মাঠে ৪০তম বিসিএস (পুলিশ) প্রবেশনারি ব্যাচ-২০২৩ এর সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুশীলন চলছিল। এ সময় একাডেমির পূর্ব নির্ধারিত মেনু অনুযায়ী প্যারেডে অংশগ্রহণকারী সকল প্রশিক্ষণার্থীকে বিরতির সময় সকালের নাশতা সরবরাহ করা হয়। তবে আপনি (প্রশিক্ষণার্থী এসআই) সরবরাহকৃত নাশতা গ্রহণ না করে হৈ চৈ করেন এবং মাঠে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করেন। অন্যান্য প্রশিক্ষণরত ক্যাডেট এসআইদেরও সংগঠিত করে আপনি একাডেমি কর্তৃপক্ষকে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টায় চরম বিশৃঙ্খল ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেন। এরপর, হৈ চৈ করতে করতে প্রশিক্ষণ মাঠ থেকে বেরিয়ে নিজ ব্যারাকে চলে যান।
আরও পড়ুন: নভেম্বরেও ঘূর্ণিঝড়ের আভাস, থাকবে কুয়াশার প্রভাব
জানা যায়, ৪০তম ব্যাচের আউটসাইডার ক্যাডেট হিসেবে মোট ৮০৪ জন প্রশিক্ষণরত ছিলেন। ২০২৩ সালের ১১ নভেম্বর তাদের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছিল এবং শেষ হওয়ার কথা ছিল ৪ নভেম্বর। তবে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে নির্ধারিত সময়ের আগেই তাদের প্রশিক্ষণ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।