বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করেছে সরকার। বুধবার (২৩ অক্টোবর) রাতে রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের রাজনৈতিক শাখা-২ থেকে এ সংক্রান্ত গেজেট জারি করা হয়।
গেজেটে স্বাক্ষর করেন জননিরাপত্তা বিভাগের রাজনৈতিক শাখা-২ এর সিনিয়র সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকার ‘সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯’ এর ধারা ১৮ এর উপ-ধারা (১) অনুযায়ী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠন ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ’-কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। একই প্রজ্ঞাপনে, উক্ত আইনের তফসিল-২ অনুযায়ী ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ’ নামীয় ছাত্র সংগঠনকে নিষিদ্ধ সত্ত্বা হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, যা আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠন হিসেবে পরিচিত, ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলে ‘পাকিস্তান ছাত্রলীগ’ নামে গঠিত হয়।
সংগঠনটির প্রথম আহ্বায়ক ছিলেন নাঈমউদ্দিন আহমেদ। পরবর্তীতে, দবিরুল ইসলাম সভাপতি এবং খালেক নেওয়াজ খান সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনোনীত হন। সময়ের সঙ্গে এই সংগঠনটি ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ’ নামে আত্মপ্রকাশ করে। বলা হয়ে থাকে, ছাত্রলীগই একমাত্র ছাত্র সংগঠন, যার নেতৃত্বে বৃহত্তর রাজনৈতিক সংগঠন ‘আওয়ামী লীগ’ গঠিত হয়। জাতীয় রাজনীতির শীর্ষস্থানীয় অনেক নেতাই ছাত্রলীগের হাত ধরে তাদের রাজনৈতিক জীবন শুরু করেছেন, যা এই সংগঠনটির রাজনৈতিক গুরুত্বকে আরও উজ্জ্বল করেছে।