সিলেটের বিশ্বনাথে দুই শিশু সন্তানসহ এক গৃহবধূ নিখোঁজ হয়েছেন। সোমবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার দশঘর ইউনিয়নের বরুনী গ্রামের স্বামীর বাড়ি থেকে ডাক্তারের কাছে যাওয়ার কথা বলে ওই গৃহবধূ নিখোঁজ হন। স্বামী প্রবাসে থাকায়, ওই দিন সন্ধ্যায় বিশ্বনাথ থানায় সাধারণ ডায়েরির আবেদন করেন দেবর আবদুর রউফ রাফি।
সূত্র জানায়, প্রায় ৭-৮ বছর আগে উপজেলার দশঘর ইউনিয়নের বরুনী গ্রামের মৃত ওয়ারিছ আলীর ছেলে আদিল আহমদের সাথে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় একই উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়নের তালিবপুর গ্রামের মানিক মিয়ার মেয়ে ফাতিহা আক্তার ইমার। তাদের ৭ বছর বয়সি একটি ছেলে ও ৪ বছর বয়সি একটি মেয়ে রয়েছে। প্রায় ৭-৮ মাস আগে সংসারের উন্নতির জন্য আদিল প্রবাসে (লেবানন) চলে যান। এ সময়ের মধ্যে স্ত্রী ফাতিহা পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। ঘটনার দিন ফাতিহা বাড়ি থেকে ডাক্তার দেখানোর কথা বলে দুই সন্তান নিয়ে বের হন। বিশ্বনাথ পৌরশহরে ডাক্তারের সিরিয়ালও নেন এক দেবরের মাধ্যমে। এ সময় স্বামীর পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের মোবাইল ফোনে বিভিন্ন মিথ্যে কথা বলে বিভ্রান্ত করেন তিনি। এক পর্যায়ে সাথে থাকা দুঃসম্পর্কের দেবরকে ফাঁকি দিয়ে সন্তানসহ চেম্বার ত্যাগ করেন তিনি। পরে আর তাকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি। তার মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: ধনে-জনে আলোকিত জনপদ বিশ্বনাথকে এগিয়ে নিতে সাংবাদিকদের ভুমিকা অপরিসীম
দেবর আবদুর রউফ রাফি জানান, ঘটনার আগের দিন রাত থেকে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হওয়ার আগ পর্যন্ত তার (ভাবীর) আচরণ এবং মোবাইলে দেওয়া বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রমাণ করে, তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে আমার ভাতিজা-ভাতিজী নিয়ে নিখোঁজ হয়েছেন। দুইটি শিশুর নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা প্রশাসনের কাছে দ্রুত তাদের সন্ধান চাইছি।
এ বিষয়ে বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুবেল মিয়া বলেন, ঘটনার বিবরণ শুনে প্রায় নিশ্চিত বলা যায়, ভিকটিম অন্য কারো সাথে পালিয়েছেন। আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি এবং সেই অনুযায়ী তাদের খুঁজে বের করার কাজ চলছে।