সিলেটের পুরোনো গ্যাসকূপ (সিলেট-৭) সংস্কারের কাজে নতুন করে গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে। সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেড কর্তৃপক্ষের তরফে দুই দফা পরীক্ষার পর এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় দফার পরীক্ষায় মাত্র এক হাজার ২০০ মিটার গভীরতায় গ্যাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়।
সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, “পুরাতন গ্যাসকূপ সিলেট-৭ নমরে চলতি বছরের জুলাই মাস থেকে মেরামতের কাজ চলছে। ১৪ অক্টোবর দুই হাজার ১০ মিটার গভীরতায় প্রথম পরীক্ষায় গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। আজ ওই কূপের আরেকটি জোনে এক হাজার ২০০ মিটার গভীরতায় ফের গ্যাসের সন্ধান মিলেছে।”
তিনি আরও জানান, আনুষ্ঠানিক পরীক্ষা সম্পন্ন হলে গ্যাসের মোট মজুত সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে। “গ্যাস পরীক্ষা করতে আরও তিন-চার দিন সময় লাগতে পারে। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে প্রতিদিন গড়ে সাড়ে ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা যাবে।
মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাকে সিলেটে আনার প্রস্তুতি চলছে। তিনি এলে আনুষ্ঠানিকভাবে সকল তথ্য প্রকাশ করা হবে।
আরও পড়ুন: বুধবার থেকে সিলেটসহ সারাদেশে বৃষ্টির আভাস
এর আগে, ২৪ মে সিলেটের কৈলাশটিলা ৮ নম্বর কূপে গ্যাস পাওয়ার কথা জানানো হয়। গত এক বছরে সিলেটের পাঁচটি কূপে গ্যাসের সন্ধান মিলেছে।
১৯৫৫ সালে সিলেটের হরিপুরে প্রথম গ্যাসের সন্ধান পাওয়া যায়। এরপর একের পর এক গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়েছে। বর্তমানে দেশে ২৯টি গ্যাসক্ষেত্র রয়েছে, যার মধ্যে সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেডের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে পাঁচটি। সিলেটের গ্যাসক্ষেত্রগুলো হলো- হরিপুর, রশিদপুর, ছাতক, কৈলাশটিলা এবং বিয়ানীবাজার গ্যাসফিল্ড।