এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল বাতিল করে সবাইকে পাস করানোর দাবিতে ঢাকার শিক্ষা বোর্ডে আন্দোলনে নেমেছেন ফেল করা একদল শিক্ষার্থী। দিনের বিক্ষোভের পর রাতেও তারা সেখানে অবস্থান করছেন। বোর্ডের চেয়ারম্যান ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে রেখেছেন শিক্ষার্থীরা।
রোববার (২০ অক্টোবর) রাত ৭টার পর্যন্ত কর্মকর্তারা অবরুদ্ধ ছিলেন। শিক্ষার্থীরা থেমে থেমে স্লোগান দিচ্ছিলেন, তাদের দাবি সবাইকে পাস করাতে হবে। শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা অফিস শেষ হলেও বের হতে পারছি না। শিক্ষার্থীরা অফিসে ভাঙচুরও করেছে। বিষয়টি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জানিয়েছি এবং তাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এর আগে দুপুরে মিছিল নিয়ে বোর্ডের সামনে এসে প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে দেয় শিক্ষার্থীরা। পরে তালা ভেঙে বোর্ডের ভেতরে প্রবেশ করে চেয়ারম্যানের কক্ষে গিয়ে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা হলে ১১ জন আহত হয়, যার মধ্যে কয়েকজন ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে। তাদের অভিযোগ, বোর্ডের কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী এই হামলার সাথে জড়িত।
আহতদের মধ্যে পাঁচজনের পরিচয় জানা গেছে: মো. সাগর হোসেন (১৭), শাহরিয়ার হাসান (১৮), ওয়াহিদ হাসান (১৯), ফাহমিদা হোসেন (১৭) ও আশুতোষ (১৮)। বাকিরা এখনো চিকিৎসাধীন।
এদিকে, সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করার অনুরোধ করেন এবং বাসায় ফেরার পরামর্শ দেন। তবে শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচন নিয়ে মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিলেন আসিফ নজরুল
এদিকে ঢাকার বাইরে চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, ময়মনসিংহ ও যশোর শিক্ষা বোর্ডেও শিক্ষার্থীরা ফলাফল বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ করেন। চট্টগ্রামে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বোর্ডের ফটকে তালা লাগিয়ে বিক্ষোভ চলছিল।
উল্লেখ্য, গত ১৫ অক্টোবর এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়, যেখানে গড় পাসের হার ছিল ৭৭.৭৮ শতাংশ।