জনপ্রিয় আলেম ও আলোচক ড. মিজানুর রহমান আজহারী বলেছেন “হালাল উপার্জন অল্প হলেও বরকতপূর্ণ।” তিনি উল্লেখ করেন যে শয়তান হারাম উপার্জনকে আকর্ষণীয় করে তোলে এবং বোঝাতে চায় যে হারামে রয়েছে আরাম। মুসলমানদের উচিত শয়তানের ধোঁকায় না পড়া।
সম্প্রতি তিনি ইসলামে হালাল উপার্জনের গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করে নিজের ভ্যারিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন।
ভিডিওতে ড. আজহারী বলেন “দেশে অনেকেই খাওয়ার ক্ষেত্রে হালাল অনুসরণ করেন কিন্তু উপার্জনের ক্ষেত্রে হালাল ও হারামের বিষয়ে সচেতনতা কম। তারা শূকরের মাংস খেতে নারাজ কিন্তু ঘুস গ্রহণ করেন।” তিনি আরো বলেন “শূকরের মাংস যেমন হারাম তেমনি ঘুসের অর্থও হারাম।”
আরও পড়ুন: দিনের প্রথম সময়ের রাসুল (সা.) যেসব আমল করতেন
ড. আজহারী বলেন “মুসলমান হিসেবে আমাদের খাবার পানীয় উপার্জন পোশাক এবং বিনোদন সবই হালাল হতে হবে। আল্লাহ তাআলা কোরানে বলেছেন ‘হে মানুষ জমিনে যা রয়েছে তা থেকে হালাল ও পবিত্র বস্তু আহার কর এবং শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না। নিশ্চয় সে তোমাদের জন্য সুস্পষ্ট শত্রু।’ (সুরা বাকারা: ১৬৮)”
জনপ্রিয় আলেম আজহারী আরো বলেন “এক ব্যক্তি সরকারি চাকরি করে লাখ লাখ টাকা উপার্জন করেছেন কিন্তু থাইল্যান্ডে গিয়ে হালাল খাবার খোঁজেন। দোকানে গিয়ে তিনি জিজ্ঞাসা করেন ‘এখানকার খাবারে পর্ক শূকরের মাংস বা চর্বি আছে কি না?’ অর্থাৎ তিনি হালাল খাবার খাওয়ার ব্যাপারে সচেতন অথচ হারাম হওয়ার পরও ঘুস গ্রহণ করেন।”