বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) বেলা ১১টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তার মৃত্যুর বিষয়টি এভারকেয়ার হাসপাতালের জেনারেল ম্যানেজার আরিফ মাহমুদ নিশ্চিত করেছেন।
মতিয়া চৌধুরী আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং শেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। তিনি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর মন্ত্রীর মর্যাদা লাভ করেন। সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুর পর একাদশ জাতীয় সংসদে উপনেতার দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
মতিয়া চৌধুরীর জন্ম ১৯৪২ সালের ৩০ জুন পিরোজপুরে। তার বাবা মহিউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা এবং মা নুরজাহান বেগম গৃহিণী। ১৯৬৪ সালে খ্যাতিমান সাংবাদিক বজলুর রহমানের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি।
রাজনৈতিক জীবনের শুরুতে বামপন্থি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন মতিয়া চৌধুরী। ইডেন কলেজে অধ্যয়নকালে ছাত্র রাজনীতিতে সক্রিয় হন এবং ১৯৬৫ সালে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি নির্বাচিত হন। ‘অগ্নিকন্যা’ নামে পরিচিত মতিয়া চৌধুরী মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতে গিয়ে স্বাধীনতার পক্ষে জনমত তৈরি করেন এবং আহত মুক্তিযোদ্ধাদের শুশ্রূষায় ভূমিকা রাখেন।
আরও পড়ুন: জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার আ. লীগের প্রণীত আইনে করতে হবে – ডা. শফিকুর রহমান
স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে তিনি বেশ কয়েকবার গ্রেপ্তার হন, পরে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। ১৯৯৬ ও ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে অবদানের জন্য ২০২১ সালে বাংলা একাডেমি তাকে সম্মানসূচক ফেলোশিপ প্রদান করে।
২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর তিনি সংসদ সদস্য পদ হারান।