Search
Close this search box.

দিনের প্রথম সময়ের রাসুল (সা.) যেসব আমল করতেন

দিনের প্রথম সময়ের রাসুল (সা.) যেসব আমল করতেন
দিনের প্রথম সময়ের রাসুল (সা.) যেসব আমল করতেন
Facebook
Twitter
WhatsApp

মুমিনের জীবনে কোনো অশুভ বিষয় নেই। বরং সবকিছুতে কল্যাণ রয়েছে। সবার জন্য শুভ সকাল কামনার মধ্যে বিশেষ কিছু আমল রয়েছে যা মুমিনের সকালের শুভতা নিশ্চিত করে।

প্রথমত – সকালে আগে ঘুম থেকে উঠলে দিনের শুভ ও নিরাপদ হওয়া নিশ্চিত। ভোরবেলা বিশেষভাবে কল্যাণময়। এটি শুধু ইবাদত বা বন্দেগির জন্য নয় বরং দৈনন্দিন কাজের জন্যও আদর্শ সময়। মহানবী (সা.) এই সময়ের কাজে বরকতের দোয়া করেছেন। সখর গামেদি (রা.) থেকে জানা যায় তিনি প্রার্থনা করেছেন “হে আল্লাহ আমার উম্মতের জন্য দিনের শুরুতে বরকত দান করুন।” রাসুল (সা.) যুদ্ধে বাহিনী পাঠানোর সময়ও ভোরবেলা বেছে নিতেন। এক বাণিজ্যিক সাহাবী ভোরবেলায় তার ব্যবসা শুরু করে বিপুল সফলতা অর্জন করেন (আবু দাউদ হাদিস: ২৬০৬)।

দ্বিতীয়ত – যে ব্যক্তি ফজরের কোরআন তিলাওয়াত দিয়ে দিনের শুরু করে তার দিন শুভ ও নিরাপদ। কোরআনে উল্লেখ আছে “ফজরের সময় কোরআন তিলাওয়াতে যত্নবান হও মনে রেখো ফজরের তিলাওয়াতে ফেরেশতাদের সমাবেশ ঘটে” (সুরা ইসরা/বনি ইসরাঈল আয়াত: ৭৮)।

তৃতীয়ত – ফজরের সালাতের মাধ্যমে দিন শুরু করলে সমূহ কল্যাণের সাথে দিনটি শুরু হয়। ফজরের দুই রাকাত নামাজ দুনিয়ার সবচেয়ে মূল্যবান জিনিস। মহানবী (সা.) বলেন “ফজরের দুই রাকাত নামাজ দুনিয়া এবং এর সবকিছুর থেকে উত্তম” (সহিহ মুসলিম হাদিস: ১৫৭৩)।

আরও পড়ুন:: সম্পদের সঠিক ব্যবহার ও ইসলামী নীতিমালা

চতুর্থত – সুস্থতা অভাবহীনতা এবং পরিবার নিয়ে যারা সকাল শুরু করেন তাদের জন্য দিনটি শুভ ও নিরাপদ। উবাইদুল্লাহ ইবনু মিহসান আল-খিতনি (রা.) বলেছেন রাসুল (সা.) বলেছেন “যার পরিবারসহ নিরাপদে সকাল কাটে সুস্থ থাকে এবং সারা দিনের খোরাকি থাকে তার জন্য যেন গোটা দুনিয়া একত্রিত করা হলো” (তিরমিজি হাদিস: ২৩৪৬; ইবনু মাজাহ হাদিস: ৪১৪১; আল আদাবুল মুফরাদ হাদিস: ৩০০)।

আল্লাহ আমাদের প্রতিটি দিনকে শুভ ও নিরাপদ করুন।

বিশ্বনাথনিউজ২৪ডটকম / বিএন২৪

আরও খবর

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত