৫ আগস্ট গণআন্দোলনের মুখে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে চলে যান। কূটনৈতিক পাসপোর্ট থাকার কারণে তাকে ভারতে ৪৫ দিন থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। আজ তার ভিসার মেয়াদ শেষ হচ্ছে, তবে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বাংলাদেশের পাসপোর্ট বাতিল হওয়ার পর তাকে ফেরত পাঠানোর কোনো পরিকল্পনা নেই।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জি নিউজ জানিয়েছে, ২০ সেপ্টেম্বর থেকে শেখ হাসিনা কোন আইনে ভারতে অবস্থান করবেন, তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছেন, কূটনৈতিক পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হলেও তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে না। কিছু সূত্রের মতে, তাকে তিব্বতের ধর্মগুরু দলাই লামার মতো ‘সাময়িকভাবে’ রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া হতে পারে।
আরও পড়ুন :: যুক্তরাষ্ট্র সফরে মোদী-ইউনূস বৈঠকের কোনো পরিকল্পনা নেই
এছাড়া, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস ভারতীয় বার্তা সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়াকে (পিটিআই) একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থান দেশের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করছে এবং তার বক্তব্য পরিস্থিতি আরও জটিল করছে। ইউনূস মনে করেন, শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনা উচিত এবং তার ভারতে থাকা উচিত নয়।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব জানিয়েছেন, শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থানের আইনি অবস্থা সম্পর্কে তারা কিছুই জানেন না, এবং ভারত এ বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট উত্তর দেয়নি। ভারত চাইলে কাউকেই আশ্রয় দিতে পারে।