ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়েভেট কুপার ঘোষণা করেছেন যে, রেস্টুরেন্ট, নির্মাণ সংস্থা এবং অন্যান্য ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে যারা বেআইনিভাবে অভিবাসীদের নিয়োগ দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর গোপন অভিযান শুরু হবে।
ফরাসি কর্মকর্তারা অভিযোগ করেছেন যে, ব্রিটেন অন্যান্য ইউরোপীয় দেশের তুলনায় অভিবাসীদের জন্য একটি সহজ গন্তব্য, কারণ এখানে কাজ করার জন্য অনুমতির প্রয়োজন কম।
এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইয়েভেট কুপার বলেছেন, অবৈধভাবে কাজ করার বিরুদ্ধে আরও শক্তিশালী পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজন। এ উদ্দেশ্যে, একটি নতুন প্রোগ্রাম চালু করা হয়েছে যা অবৈধ নিয়োগদাতাদের বিরুদ্ধে অভিযান বৃদ্ধি করবে এবং জরিমানা বাড়াবে।
হোম অফিস সতর্ক করেছে যে, অবৈধ কর্মী নিয়োগ করলে নিয়োগকর্তাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড এবং বড় জরিমানার সম্মুখীন হতে হতে পারে।
ফরাসি কর্মকর্তারা ব্রিটেনের শ্রম আইনকে সমালোচনা করেছেন, এবং উল্লেখ করেছেন যে, ব্রিটেনে ভিসা ছাড়াই কাজ করা অনেক সহজ। এ বিষয়ে আলোচনা করতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার ১৬ সেপ্টেম্বর রোমে ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির সাথে বৈঠক করেছেন।
আরও পড়ুন :: লন্ডনে আনজুমানে আল ইসলাহ ইউকের গ্রান্ড মীলাদুন্নবী কনফারেন্স অনুষ্ঠিত
লন্ডনের চ্যান্সেরি সলিসিটর্সের প্রধান সলিসিটর ব্যারিস্টার মো. ইকবাল হোসেন বলেছেন, ব্রিটেনে বসবাসরত অভিবাসীদের যদি বৈধতা দেওয়া হতো, তাহলে ব্রিটেনের অর্থনীতি উপকৃত হতো এবং অতিরিক্ত রাজস্ব পেতো। বর্তমান ইমিগ্রেশন সিস্টেমের কারণে ব্রিটেন ও অভিবাসীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
বর্তমানে, সঠিক পরিসংখ্যান না থাকলেও, কয়েক হাজার বাংলাদেশি ব্রিটেনে বসবাস করছেন যারা কাজের বৈধতা রাখেন না।