Search
Close this search box.

বিশ্বনাথে আমতৈল সরকারি বিদ্যালয়ের ভূমি দখল করে প্রভাবশালীর গৃহ নির্মাণ

সরকারি বিদ্যালয়ের ভূমি দখল
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ
Facebook
Twitter
WhatsApp

বিশ্বনাথে এক প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে সরকারি বিদ্যালয়ের জমি দখল করে গৃহ নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। মো. ফয়ছল আহমদ নামের ওই ব্যক্তি জোরপূর্বক আমতৈল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি দখল করে ঘর নির্মাণ করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন বৃহত্তর আমতৈল গ্রামের বাসিন্দারা। তারা গতকাল (রবিবার) বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দেন।

লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, আমতৈল গ্রামের ছগির উদ্দিনের ছেলে ফয়ছল আহমদ একজন ভূমি খেকো এবং ক্ষমতার অপব্যবহারকারী ব্যক্তি। অভিযোগ রয়েছে, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নাছিমা বেগম (ফয়ছলের বোন) এর যোগসাজশে তিনি বিদ্যালয়ের ভূমি দখল করে অবৈধভাবে ঘর নির্মাণ করেছেন।

লিখিত প্রতিবেদন মতে, ফয়ছল আহমদ বিগত স্বৈরাচার সরকারের আমল থেকে বলপূর্বকভাবে ঘর নির্মাণ করে আসছেন। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর সরকারের পতন হলে মানুষ অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন। এর ধারাবাহিকতায় আমতৈল গ্রামের বাসিন্দারা শান্তিপূর্ণভাবে এই অবৈধ গৃহ নির্মাণের প্রতিবাদ করেন। তবে তাদের প্রতিবাদকে অমান্য করে ফয়ছল আহমদ গৃহ নির্মাণ সম্পন্ন করেছেন। এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

স্মারকলিপিতে স্বাক্ষর করেছেন বৃহত্তর আমতৈল গ্রামের বাবুল মিয়া, নেছার আলী, আইন উদ্দিন, এম এ ছাত্তার, মো. রেনু মিয়া, তোফায়েল আহমদ, মামুন, সিরাজুল ইসলাম, জিয়াউল হক, সালেহ আহমদ, নজরুল সাহেদ, আল-আমিন এবং সায়েস্থা মিয়া।

আরও পড়ুন :: শেখ তাহির আলী হত্যাকাণ্ডের বিচার দা’বিতে বিশ্বনাথে শি’ক্ষার্থীদের মানব’বন্ধন

এ বিষয়ে মো. ফয়ছল আহমদ বলেন, “বিদ্যালয়ের পাশেই আমার বসতঘর। আগে টিনসেটের ঘর ছিল, বর্তমানে পাকা ঘর নির্মাণ করেছি। আমার জানামতে বিদ্যালয়ের কোনো ভূমি আমার ঘরে ঢোকেনি। ভুলবশত ২০ পয়েন্ট জায়গা ঢুকে থাকতে পারে। যদি ঢুকে থাকে, ইউএনও স্যার যে সিদ্ধান্ত দেবেন, আমি তা মেনে নেব। কিছু মানুষ অন্যায়ভাবে আমার উপর জুলুম করছেন। আমি প্রতিহিংসার শিকার।”

ফয়ছল আহমদের ভগ্নিপতি কাহের মিয়া বলেন, “বিদ্যালয়ের জমির পাশেই আমাদের ২ শতক জমি আছে। ফয়ছল তার নিজের জায়গায় ঘর নির্মাণ করছে। জোর করে বা দখল করে ঘর নির্মাণের প্রশ্নই আসে না। তবে বিদ্যালয়ের ৩৫ পয়েন্ট জায়গা ঘরে ঢুকে থাকতে পারে। ইউএনও স্যার যে সিদ্ধান্ত দেবেন, আমরা তা মেনে নেব।”

এ বিষয়ে এলাকাবাসীর লিখিত অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, “তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

বিশ্বনাথনিউজ২৪ডটকম / বিএন২৪

আরও খবর

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত