Search
Close this search box.

সিলেটের চারটি মা’ম’লা’য় জা’মিন পেলেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাবর

সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাবর
সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাবর । ছবি সংগৃহীত
Facebook
Twitter
WhatsApp

সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে দায়েরকৃত চারটি মামলায় জামিন পেয়েছেন।

বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক স্বপন কুমার সরকার শুনানি শেষে তার জামিন মঞ্জুর করেন।

জামিন পাওয়া মামলাগুলোর মধ্যে রয়েছে সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যা মামলা, সাবেক রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত হত্যাচেষ্টা মামলা এবং বিস্ফোরক আইনের দুটি মামলা। বৃহস্পতিবার ট্রাইব্যুনালের পিপি সরওয়ার আহমদ চৌধুরী আবদাল বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, আসামিপক্ষ জামিন আবেদন করলে আমরা আপত্তি জানাই, তবে আদালত জামিন মঞ্জুর করেন।

আরও পড়ুর:: সাবেক ডিএম’পি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়াকে গ্রেফ’তার করেছে র‍্যাব

বাবরের আইনজীবী শহীদুজ্জামান চৌধুরী জানান, সিলেটে বাবরের বিরুদ্ধে চারটি মামলা ছিল এবং তিনি এসব মামলায় জামিন পেয়েছেন। বাবরের বিরুদ্ধে আরও কয়েকটি মামলা রয়েছে, যার মধ্যে কিছুতে তিনি দণ্ডিত হয়েছেন। তিনি বর্তমানে কাশিমপুর কারাগারে আটক রয়েছেন এবং শারীরিকভাবে অসুস্থ।

সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী জয়নাল আবদীন জানান, ৪ সেপ্টেম্বর বাবরের জামিন শুনানির আবেদন করা হয়েছিল এবং ১১ সেপ্টেম্বর শুনানির তারিখ নির্ধারণ করা হয়।

উল্লেখ্য, ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জের বৈদ্যের বাজারে একটি জনসভায় গ্রেনেড হামলায় নিহত হন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া। ওই ঘটনায় বাবরসহ বিএনপির কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতাকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়।

এর আগে, ২০০৪ সালের ২১ জুন সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে একটি রাজনৈতিক সমাবেশে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে, যেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দিচ্ছিলেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। হামলায় এক যুবলীগ কর্মী নিহত ও ২৯ জন আহত হন। ওই ঘটনায় দিরাই থানায় একটি মামলা করা হয় এবং পরে দীর্ঘ তদন্ত শেষে বাবরসহ ১১ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

লুৎফুজ্জামান বাবর নেত্রকোণা-৪ (মদন, মোহনগঞ্জ, খালিয়াজুরী) আসন থেকে তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৭ সালে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এর পাশাপাশি ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের জনসভায় গ্রেনেড হামলা ও চট্টগ্রামের ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় তার মৃত্যুদণ্ড হয়েছে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে আরও কিছু মামলা রয়েছে।

বিশ্বনাথনিউজ২৪ডটকম / বিএন২৪

আরও খবর

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত