Search
Close this search box.

জাতীয় সংগীত পরিবর্তন নিয়ে যা বললেন ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা

জাতীয় সংগীত পরিবর্তন বিষয় বক্তব্য রাখছেন ধর্ম উপদেষ্টা। ছবি সংগৃহীত
Facebook
Twitter
WhatsApp

বিশ্বনাথনিউজ২৪::  জাতীয় সংগীত পরিবর্তনের বিষয়ে আলোচনা করে ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, এটি বিতর্ক সৃষ্টির একটি চেষ্টা মাত্র। তিনি বলেন, “আমাদের প্রধান উপদেষ্টা বারবার বলেছেন, কোনো বিতর্কিত বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা হবে না। আমরা একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, আমাদের মূল কাজ হলো আইনি শৃঙ্খলা পুনঃস্থাপন করা এবং দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা।”

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজশাহীতে ইসলামিক ফাউন্ডেশন আয়োজিত ওলামা-মাশায়েখ ও অন্যান্য ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় অংশ নিয়ে তিনি এই কথা বলেন।

ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা আরও জানান, “প্রথমে সবকিছু স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে হবে, তারপর আমরা নির্বাচন কমিশনকে পুনর্গঠন করে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করব। নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেই আমরা বিদায় নেব।”

আরও পড়ুন:: তিস্তার পানিবণ্টন সংকটের সমাধান এখনই প্রয়োজন: ড. ইউনূস

ড. খালিদ হোসেন আরও উল্লেখ করেন, “মসজিদ, মন্দির এবং মাজারে হামলা অত্যন্ত নিন্দনীয় কাজ। যারা এই ধরনের হামলা চালায়, তারা মানবতার শত্রু। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য সংখ্যালঘুদের উপাসনালয়ে হামলার ঘটনা ঘটেছে, যার জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

সাভারের পোশাক কারখানায় নিরাপত্তার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “দেশটি সব ধর্ম ও বর্ণের মানুষের দ্বারা গঠিত। স্থানীয় জনগণের পাশাপাশি মাদ্রাসার ছাত্রদেরও পূজার সময় মন্দির পাহারার দায়িত্বে সম্পৃক্ত করা হবে। এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”

এছাড়াও তিনি জানান, “চলতি মাসে সৌদি আরবের ধর্মমন্ত্রীর সঙ্গে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে হজের খরচ কমানোর বিষয়ে আলোচনা হবে।”

রাজশাহীর জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদের সভাপতিত্বে এই সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি আলমগীর রহমান, রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালক পারভেজ রায়হান এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নর মাওলানা জামাল উদ্দিন সন্দ্বীপী।

এর আগে, সকালে ড. খালিদ হোসেন রাজশাহীর পবায় মডেল মসজিদ পরিদর্শন করেন এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত ইমাম-মুয়াজ্জিনদের সম্মানি বাড়ানোর বিষয়ে সরকারের চিন্তাভাবনার কথা জানান।

তিনি আরও বলেন, “ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখা আমাদের সবার দায়িত্ব। কেউ যেন ধর্মীয় বিশ্বাসকে ব্যবহার করে সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে না পারে, সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।”

বিশ্বনাথনিউজ২৪ডটকম / বিএন২৪

আরও খবর

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত