নিজস্ব প্রতিবেদক: সিলেটের বিশ্বনাথ পৌরশহরের আল-হেরা শপিং সিটির ব্যবসায়ী ও জামায়াত নেতা আমজদ আলীর ওপর হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নম্বর ১২ (২১-০৮-২-২৪)।
গত বুধবার (২১ আগস্ট), আমজদ আলী বাদী হয়ে বিশ্বনাথ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাবেক প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী এবং সিলেট-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান চৌধুরীকে প্রধান আসামি করে মোট ১০৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলায় অন্যান্য অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন পূর্ব জানাইয়া গ্রামের আবুল কালামের পুত্র শামীম উরফে চাক্কু শামীম, বিশ্বনাথেরগাঁও গ্রামের মৃত: আপ্তাব আলীর পুত্র ফারুক আহমদ, তেলিকোনা গ্রামের নুরুল হোসেনের পুত্র মুহিবুর রহমান সুইট, দশপাইকা গ্রামের মৃত: ইরফান আলীর পুত্র বসির উরফে এঙ্গেল বসির, মৃত: আছকির আলীর পুত্র ফখরুল ইসলাম মতছিন, কাশিমপুর গ্রামের মৃত: আরফান আলীর পুত্র এস এম নুনু মিয়া, মোল্লারগাঁও গ্রামের মৃত: ময়না মিয়ার পুত্র ফজর আলী, মুনসিরগাঁও গ্রামের সফর আলীর পুত্র ছখর আলী, শরিষপুর গ্রামের মৃত: জয়দু মিয়ার পুত্র রফিক আলী, দ্বীপবন্ধ-বিলপার গ্রামের মৃত: আব্দুর রহমানের পুত্র গিয়াস উদ্দিন, তবলপুর গ্রামের মৃত: খুরশিদ আলীর পুত্র কালা দুদু, দশপাইকা গ্রামের তোতা মিয়ার পুত্র সাদিক, মোহাম্মদপুর গ্রামের ধীরেন্দ্র ধরের পুত্র শংকর চন্দ্র ধর, অজ্ঞাত গ্রামের জাবের উপফে বখরী জাবের, টেংরা আলী পাড়া গ্রামের মৃত: লাল মিয়ার পুত্র সিতার মিয়া, রাউতেরগাঁও গ্রামের আশিক আলীর পুত্র আক্তার হোসেন, শাহজিরগাঁও গ্রামের রইছ আলীর পুত্র আব্দুল হক, চৌধুরীগাঁও গ্রামের ছোরাব আলীর পুত্র রাজু আহমদ, পূর্ব চান্দশীরকাপন গ্রামের তবারক আলীর পুত্র সিরাজুল ইসলাম রুকন, জানাইয়া গ্রামের মৃত: সমর আলীর পুত্র কয়েস আহমদ, শাহজিরগাঁও গ্রামের সোনাফর আলীর পুত্র ফয়জুল, জানাইয়া গ্রামের এলাইছ মিয়ার পুত্র জাকির উরফে বøাক জাকির, নোয়ারাই গ্রামের মৃত: রমেশ দাশের পুত্র রঞ্জ দাশ, রায়পুর গ্রামের শুকুর আলীর পুত্র আলী আহমদ, কুমারপাড়া গ্রামের মাছিম খানের পুত্র আশিক খান ছখা, নোয়াগাঁও-বন্ধুয়া গ্রামের মৃত: আব্দুর রাজ্জাকের পুত্র রুবেল মিয়া, বন্ধুয়া গ্রামের বাদশা মিয়ার পুত্র লুৎফুর মিয়া, রহিমপুর মাঝপাড়া গ্রামের ভুরু মিয়ার পুত্র মো. মাতিন মিয়া, রহিমপুর গ্রামের আবুল হোসেনের পুত্র আক্তার, গোমরাগুল গ্রামের আদ্দুল গণির পুত্র আরশ আলী, কারিকোনা গ্রামের আব্দুল মতিনের পুত্র ফারাবী ইমন ইসলাম, বিশ্বনাথ পুরানবাজারের আরজু দেবের পুত্র অমিত দেব, কাউপুর গ্রামের আব্দুর রউফের পুত্র আব্দুল বাতেন, শ্রীধরপুর গ্রামের মৃত: মছদ্দর আলীর পুত্র শাহজাহান সিরাজ, সোনাপুর গ্রামের আব্দুল হান্নানের পুত্র ফয়ছল আহমদ, তেলিকোনা গ্রামের মৃত: রুস্তুম আলীর পুত্র তোফাজ্জুল ভান্ডারী, একই গ্রামের মৃত: রুস্তুম আলীর পুত্র মিজাজুল, চকরামপ্রাসাদ গ্রামের কদরিছ আলীর পুত্র কুতুব, লামাচর গ্রামের ওয়াহাব আলীর পুত্র আব্দুস শহিদ, একই গ্রামের আব্দুস ছত্তারের পুত্র মুন্না মিয়া, মোল্লারগাঁও গ্রামের মৃত: আব্দুল খালিকের পুত্র উজ্জল, জানাইয়া রোড এলাকার আব্দুল কুদ্দুছের পুত্র সোহাগ, রামচন্দ্রপুর গ্রামের মৃত: সুফই মিয়ার পুত্র আহমদ শরীফ, বাওনপুর গ্রামের আব্দুর রশীদের পুত্র লাল মিয়া, ভোলাগঞ্জ গ্রামের জমির আলীর পুত্র তোরন মিয়া, তেঘরী গ্রামের আইয়ুব আলীর পুত্র ফয়জুল, একই গ্রামের কছির আলীর পুত্র মুন্না, কুড়িখলা গ্রামের মৃত: হরমুজ আলীর পুত্র জয়নুল আবেদীন, দত্তপুর গ্রামের অশোক দেবের পুত্র অভি দেব, কেশবপুর গ্রামের মৃত: আশিক আলীর পুত্র সিরাজুল ইসলাম, বিদ্যাপতি কেশবপুর গ্রামের মৃত: সরাফত আলীর পুত্র শানুর আহমদ, বিদ্যাপতি সাঙ্গিরাই গ্রামের আমিনুল ইসলাম উরফে শহিদ উল্লাহ, কাজীরগাঁও গ্রামের ওয়াহাব আলীর পুত্র সুহেল আহমদ, মির্জারগাঁও গ্রামের আব্দুল মুতলিব মনার পুত্র এরশাদ, বিদ্যাপতি গ্রামের মৃত: আছদ্দর আলীর পুত্র আব্দুর রহমান, একই গ্রামের মৃত: আলা উদ্দিনের পুত্র জহির উদ্দিন, বরুণী গ্রামের মৃত: ইন্তাজ আলীর পুত্র আব্দুল করিম, একই গ্রামের আব্দুল খালিকের পুত্র শাহান শাহ, জানাইয়া গ্রামের মৃত: মবত আলীর পুত্র মকদ্দছ আলী, জাহারগাঁও গ্রামের ওয়ারিছ খানের পুত্র রুহেল খান, বড় খুরমা গ্রামের মৃত: তফুর আলীর পুত্র হিরা মিয়া, ছনকাড়ীগাঁও গ্রামের মৃত: ইরশাদ আলীর পুত্র হেলাল, উত্তর দৌলতপুর গ্রামের মৃত: গৌছ আলীর পুত্র খালেদ রব, দশপাইকা গ্রামের ইরপান আলীর পুত্র কবির আহমদ, ছত্তিশ উত্তর গ্রামের মনির উদ্দিন ছছইয়ের পুত্র কামাল আহমদ, বড়তলা গ্রামের মৃত: জহুর আলীর পুত্র রুকন নিয়াজী, ধরারাই গ্রামের তোরণ আলীর পুত্র সজল মিয়া, কোনারাই গ্রামের মৃত: মাসুক মিয়ার পুত্র নজরুল, রামচন্দ্রপুর গ্রামের ফিরোজ আলীর পুত্র আসাদ, রামপাশা গ্রামের ফয়জুর রহমান ছাড়াইয়ের পুত্র আরব আলী, আমতৈল গ্রামের মৃত: শামছুল হকের পুত্র বকুল, রামপাশা গ্রামের নাজিম উদ্দিনের পুত্র ফয়জুর রহমান দুলু, রামপাশা উত্তরপাড়া গ্রামের মৃত: শরিয়ত উল্লাহর পুত্র সাইফুর রহমান, কাটলিপাড়া গ্রামের ছোয়াব আলীর পুত্র আফরোজ আলী, বাউসেন গ্রামের হরিন্দ্র লাল গুণের পুত্র বিভাংশু শুণ বিভু, মুনসিরগাঁও গ্রামের মৃত: আব্দুল জব্বারের পুত্র মতিন মিয়া, বাজিতপুর গ্রামের আব্দুল মোমিনের পুত্র হান্নান বদরুল, সুখিপুর কালিগঞ্জবাজারের আব্দুল আহাদের পুত্র মুজিবুর রহমান, মজলিসপুর গ্রামের উলঙ্গ সুত্র ধরের পুত্র প্রদীপ ধর, মটুঠকোনা গ্রামের আব্দুল আহাদের পুত্র লায়েক, কোনারাই গ্রামের গোলাব মিয়ার পুত্র বেলাল, ছোট খুরমা গ্রামের মাহমদ আলীর পুত্র রফিক মিয়া, সুখীপুর কালিগঞ্জবাজারের আব্দুল করিমের পুত্র সাদিক মিয়া, ছোট খুরমা গ্রামের মহিন উদ্দিন মুতলিবের পুত্র শাহাবউদ্দিন, দশঘর নোয়াগাঁও পশ্চিম মানিক মিয়ার পুত্র রুবেল, দোহাল গ্রামের আব্দুল মজিদের পুত্র হোসাইন, রামপুর গ্রামের মন্তাজ আলীর পুত্র মঈন উদ্দিন, রাউতেরগাঁও গ্রামের ইলাছ মিয়ার পুত্র জামাল মিয়া, শ্রীঘরপুর গ্রামের মৃত: আনাই মিয়ার পুত্র রুবেল, একই গ্রামের শাহজাহান সিরাজের পুত্র রেজা মিয়া, আলী হোসেন, বড়তলা গ্রামের আফরোজ আলীর পুত্র সিদ্দেক আলী, বড় খুরমা গ্রামের আয়না মিয়া, দোহাল গ্রামের ইশাদ আলীর পুত্র নূরুল ইসলাম, একই গ্রামের হান্নান মিয়ার পুত্র জহিরুল ইসলাম বাবর, রামচন্দ্রপুর গ্রামের ফিরোজ আলীর পুত্র আসাদ আহমদ, একই গ্রামের আব্দুল খালিকের পুত্র লিয়াকত আলী, মনোহরপুর গ্রামের আনই মিয়ার পুত্র মাসুম আহমদ, রামচন্দ্রপুর গ্রামের আলকাছ আলীর পুত্র আমির আলী, একই গ্রামের আলমাছ আলীর পুত্র মো. আলী, চকরামপ্রাসাদ গ্রামের মৃত: আব্দুল করিমের পুত্র আব্দুর রশীদ, খারপাড় গ্রামের আইয়ুব আলী, বড়তলা গ্রামের জহুর আলীর পুত্র মুজিবুর রহমান, একই গ্রামের মোস্তফার পুত্র সাইফুল, কোনারাই গ্রামের মৃত: আলফু মিয়ার পুত্র জামাল, একই গ্রামের মৃত: গোলাছ মিয়ার পুত্র বেলাল ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহ আসাদসহ অজ্ঞাতনামা হিসেবে আরো ৬০/৭০ জনকে মামলায় আসামী করা হয়েছে।
আরও পড়ুন ::: বিশ্বনাথে জামায়াত নেতার উপর হামলা: সাবেক মন্ত্রীসহ ১০৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা
বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রমা প্রসাদ চক্রবর্তী মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট আমজদ আলী তার বাড়ি থেকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার পথে পৌরশহরের বাসিয়া সেতুর ওপর মোটরসাইকেলের গতিরোধ করা হয়। এসময় আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায় এবং তার মোটরসাইকেলটি পুড়িয়ে দেয়।