বিশ্বনাথনিউজ২৪ ডেস্ক:: ফেনী ও কুমিল্লায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতির কারণে চট্টগ্রাম থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকে চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চলাচলরত আন্তনগরসহ সব ট্রেন বন্ধ রাখা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী সুবর্ণ এক্সপ্রেস এবং সিলেটগামী পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেন ছাড়লেও, বন্যার কারণে তারা গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেনি। রেলওয়ে কর্মকর্তাদের তথ্যমতে, ফেনী থেকে ফাজিলপুর পর্যন্ত রেললাইন পানিতে তলিয়ে গেছে এবং অনেক স্থানে রেলসেতুর ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া কুমিল্লায় রেললাইন উপড়ে যাওয়ার খবরও পাওয়া গেছে এবং ফেনী স্টেশনে বন্যার পানি জমে রয়েছে।
চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা, জামালপুর, সিলেট ও চাঁদপুরে প্রতিদিন ১১টি আন্তনগর ট্রেন চলাচল করে। এছাড়া কক্সবাজার, নাজিরহাট, চাঁদপুর, ঢাকা এবং ময়মনসিংহে লোকাল ও কমিউটার ট্রেনও নিয়মিত চলাচল করে।
বন্যার পরিস্থিতির অবনতির কারণে ট্রেন চলাচল বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘বন্যার পরিস্থিতি খুবই খারাপ, বিশেষ করে ফেনীতে রেললাইন ও রেলসেতুর ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। একই অবস্থা সিলেটের একটি রেলসেতুতেও। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইনেও পাহাড় ধস হয়েছে। যাত্রীদের নিরাপত্তা ও রেলের সম্পদ রক্ষায় ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ট্রেন চলাচল পুনরায় শুরু করা হবে।’
চট্টগ্রাম স্টেশনের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জানান, ‘বন্যার কারণে অনেক জায়গায় রেললাইন ডুবে গেছে এবং কুমিল্লায় রেললাইন ভেসে গেছে বলে শুনেছি। এ কারণে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আপাতত ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে।’
গতকাল বুধবার থেকে কুমিল্লা ও ফেনীর বন্যা পরিস্থিতির অবনতি শুরু হয়। ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টিতে মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের কয়েকটি উপজেলা প্লাবিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত এসব এলাকায় বন্যার পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে এবং বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। আবহাওয়া অফিস আরও ৪৮ ঘণ্টা বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে।
আরও পড়ুন : চুনারুঘাটে শিক্ষা সফরে যাওয়া বিশ্বনাথের শিক্ষার্থীদের উপর হামলা
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্যমতে, কুশিয়ারা, মনু, ধলাই, খোয়াই, মুহুরী, ফেনী ও হালদা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর মধ্যে ফেনীর মুহুরী নদীর পানি গত ৪০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে।