সিলেট নিউজ ডেস্ক:: সিলেট নগরীর সোবহানিঘাট এলাকায় বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের মিছিলে হামলা এবং গুলি চালানোর অভিযোগে এক যুবক আদালতে মামলা করেছেন।
দায়েরকৃত মামলায় সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, সিলেট সিটি করপোরেশনের সদ্য বিদায়ী মেয়র, সাবেক ৩ সংসদ সদস্যসহ ৫৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৩-৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) দক্ষিণ সুরমা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী সাজন আহমদ সাজু সিলেটের অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন আদালতের বিচারক আব্দুল মোমেনের আদালতে এই মামলা দায়ের করেন।
মামলায় সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. জাকির হোসেন খান, গোয়েন্দা বিভাগের উপ কমিশনার তাহিয়াত আহমদ চৌধুরী, সিআরটি বিভাগের প্রধান শাহরিয়ার আল মামুন, অতিরিক্ত উপ কমিশনার সাদেক কাওসার দস্তগীর, এসআই পলাশ চন্দ্র দাস, উপ কমিশনার আজবাহার আলী শেখ, এসআই সাইদুর রহমান, বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কল্লোল গোস্বামীকে আসামি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : আনোয়ারুজ্জামান, নাদেল, হাবিব’সহ ৭৬ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মা’ম’লা
এছাড়া মামলায় সিসিক কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য রনজিত সরকার, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ও সিসিক কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ, মহানগর যুবলীগ সভাপতি আলম খান মুক্তি, বদরুল ইসলাম, কামরুল ইসলাম, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি নাজমুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ, সিলেট-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, সিলেট সরকারী কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ শোভন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু দাশ মিঠু, এসআই শামীম, এমসি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি দিলোয়ার হোসেন রাহি, সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, প্রচার সম্পাদক ফরহাদ, শুভ, যুবলীগ নেতা জিহাদ, জাকিরুল আলম জাকির, শামিম ইকবাল, আব্দুল্লাহ আল মামুন, কাজী জুবায়ের, যুবলীগ নেতা হিরক রঞ্জন দে পাপলু, লিলন আহমদ, শাবিপ্রবির কলেজ ইন্সপেক্টর তাজিম উদ্দিন, মহানগর ছাত্ররীগের সাধারণ সম্পাদক নাইম আহমদ, মো. ইয়াহইয়া, কাজী আশরাফ খান মাসুম, মনজুর, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আহমদ আল কবির, সদস্য তামীম আহমদ, মস্তাক আহমদ পলাশ, তমিজ উদ্দিন, বাদল, আমির হোসেন, সৈয়দ এনায়েতুল বারী মোর্শেদ, হোসেন উল্লা নাদিম, সাব্বির, আফজাল, জাকারিয়া মাহমুদ, সনি, শেখ শাকিল, ইসমাইল মাহমুদ সুজন ও মইনুল ইসলাম মইনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আর ৩০০/৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজহারে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ‘শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গর্জে উঠা ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানকে বানচাল করার উদ্দেশ্যে পুলিশ কমিশনার জাকির হোসেনের নেতৃত্বে আসামিরা বিএনপি, যুবদল এবং ছাত্রদলের শান্তিপূর্ণ মিছিলে বৈধ ও অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার করে নিরীহ ছাত্র জনতার উপর গুলিবর্ষণ শুরু করে।’ অভিযোগে আরও বলা হয়েছে যে, ’অপর আসামিরা হাতে থাকা বোমা নিয়ে ছাত্র জনতার উপর অবিরাম গুলিবর্ষণ, ককটেল, ও বোমা নিক্ষেপ করে হত্যার উদ্দেশ্যে।’
এসময় পথচারীরা মারাত্মকভাবে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। তার মধ্যে আমার (সাজু) মুখে ও চোখে গুলি লাগে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে স্প্লিন্টারের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে ।
আদালত কোতোয়ালী মডেল থানাকে এই এজাহার এফআইআর হিসেবে গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
