Search
Close this search box.

বিশ্বনাথে ব্রিক ফিল্ড বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

ব্রিক ফিল্ড
Facebook
Twitter
WhatsApp

বিশ্বনাথনিউজ২৪ :: সিলেটের বিশ্বনাথে পৌর শহরের কালীগঞ্জ বাজারে পৌরসভার ট্রেড লাইসেন্স বিহীন পরিবেশ দূষণকারী ‘আল ফালাহ ব্রিক ফিল্ড’ দ্রুত বন্ধের দাবীতে প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে পৌর শহরের বাসিয়া সেতুর উপর বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেট শাখা ও কালীগঞ্জ বাজার সচেতন নাগরিক ফোরামের উদ্যোগে প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশ্বনাথ পৌরসভার প্যানেল মেয়র-১ রফিক হাসান।

পৌরসভার ট্রেড লাইসেন্স না থাকার পরও আইনের তোয়াক্কা না করে প্রশাসনসহ সংশিল্ট কর্তৃপক্ষকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে সম্প্রতি রাতের আধাঁরে ‘আল ফালাহ ব্রিক ফিল্ড’-এ আগুন দিয়ে ইট পুড়ানোর কার্যক্রম শুরু হওয়ায় ঘটনায় ফোঁসে উঠেছেন এলাকাবাসী। দীর্ঘদিন ধরে পরিবেশ দূষণকারী ‘আল ফালাহ ব্রিক ফিল্ড’ বন্ধের দাবী করে আন্দোলন করে আসছেন এলাকাবাসী। আর এলাকাবাসীর আন্দোলনের প্রেক্ষিতে প্রায় ৬ মাস পূর্বেই পৌর কর্তৃপক্ষ আল ফালাহ ব্রিক ফিল্ডের সত্ত্বাধিকারী ও বিশ্বনাথ সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ সিরাজুল হককে ট্রেট লাইসেন্স না দিয়ে পৌর এলাকা থেকে ব্রিক ফিল্ড অপসারণ করার জন্য নোটিশ দিয়েছে।

কালীগঞ্জ বাজার সচেতন নাগরিক ফোরামের আহবায়ক ফজল খানের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহবায়ক এসকে সাজুর পরিচালনায় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেট জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কিম, কোষাধ্যক্ষ ও সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছামির মাহমুদ, বিশ্বনাথ পৌরসভায় ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফজর আলী, ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জহুর আলী, পৌর সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি রফিক আলী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কালীগঞ্জ বাজার সচেতন নাগরিক ফোরামের সদস্য সচিব আনোয়ার মিয়া।

প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, আইন না মেনে পৌরসভার ভিতরে কালীগঞ্জ বাজারে রাস্তার পাশে ‘আল-ফালাহ ব্রিক ফিল্ড’ নামে ইটভাটার কার্যক্রম চলছে। ইটভাটাটিতে ইট পোড়ানো শুরু হলে ইটভাটার পার্শ্বে কয়েকটি স্কুল-মাদ্রাসা রয়েছে। ইটভাটার কালো ধোয়ায় স্কুলে কোমলমতি শিশু ও বয়স্করা শ্বাসকষ্ট, হাঁপানী, নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এই ইট ভাটার মালিক সরকারি কোন নিয়ম নীতি না মেনে নজের ইচ্ছেমত ইট ভাটার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। ইট ভাটা ঘেষা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শত শত কোমলমতি শিশুরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। পরিবেশের ছাড়পত্র ছাড়া ও পৌরসভার অনুমতিপত্র ছাড়া এলাকার মানুষের ক্ষতি করে কিভাবে এই ইটভাটা পরিচালিত হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেন বক্তারা? কৃষকদের ফসলি জমি ও ফসল ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে বলেও দাবি করেন তারা।

তারা বলেন, ইতিমধ্যে এই ইটভাটা অপসারণের দাবিতে বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, পরিবেশ অধিদপ্তর, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও পৌর মেয়র বরাবরে স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে, করা হয়েছে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা।

আরও খবর

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত