Search
Close this search box.

‘পৌর আ.লীগের বিবৃতি দুর্নীতিবাজদের পক্ষাবলম্বন ছাড়া আর কিছু নয়’

Facebook
Twitter
WhatsApp

বিশ্বনাথনিউজ২৪ ডেস্ক :: বিশ্বনাথ পৌরসভার মেয়র মুহিবুর রহমানের বিরুদ্ধে অশালীন বক্তব‌্যের অভিযোগ তুলে তার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে পৌর আওয়ামী লীগের বিবৃতি প্রদানের একদিন পর সেটার পাল্টা প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন পৌরসভার সাধারণ ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের ৬ কাউন্সিলর।

গতকাল বুধবার (২ আগস্ট) রাতে গণমাধ‌্যমে প্রেরিত তাদের সাক্ষরিত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ‌্যমে পাল্টা প্রতিবাদ জানিয়ে তারা বলেন, ‘বিশ্বনাথে দলমত নির্বিশেষে সকল মহলের কাছে গ্রহণযোগ্য উপজেলা পরিষদের দু’দুইবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান এবং পৌরসভার প্রথম মেয়র মুহিবুর রহমানের সাম্প্রতিক সময়ের একটি বক্তব্যকে অপব্যাখ্যা করে পৌর আওয়ামী লীগ যে বিবৃতি প্রদান করেছে, তা দুর্নীতিবাজদের পক্ষাবলম্বন ছাড়া আর কিছু নয়।’ এর আগে গত সোমবার (৩১ জুলাই) মেয়র মুহিবুর রহমানকে সতর্ক করে বিবৃতি দিয়েছিল পৌর আওয়ামী লীগ।


পৌরসভার ৬ কাউন্সিলরদের প্রেরিত বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, বিশ্বনাথ পৌর আওয়ামী লীগের প‌্যাডে মেয়র মুহিবুর রহমানের বিরুদ্ধে যে বিবৃতি প্রদান করা হয়েছে, তা মিথ্যা ও বানোয়াট। তার বিরুদ্ধে যে মানহানিকর বক্তব্য উপস্থাপন করা হয়েছে, তা শান্তিপ্রিয় বিশ্বনাথবাসীকে দ্বিধাবিভক্ত করা ও সমাজে বিভ্রান্তি ছড়ানো ছাড়া আর কিছু নয়। বিবৃতিতে তাদের এসব উদ্ভট বক্তব্য প্রত্যাহার ও এমন কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান পৌর কাউন্সিলররা।


তারা আরও উল্লেখ করেন, ‘সম্প্রতি বিশ্বনাথ উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার ভরাডুবির কারণ নিয়ে মেয়র যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা সত্য। এই বক্তব্য আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কিভাবে গেল, তা আমাদের বোধগম্য নয়। জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে পৌর আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের এ ধরণের বিবৃতি প্রদান পক্ষান্তরে আওয়ামী লীগকে দ্বিধাবিভক্ত করা ও ওই নেতৃবৃন্দের দেউলিয়াত্বের নামান্তর।’


প্রকৃতপক্ষে, মেয়র মুহিবুর রহমানই আওয়ামী লীগের জন‌্যে নিবেদিতপ্রাণ। তিনি ১৯৮০ সালে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন। ১৯৮০ সালে জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ পদপ্রার্থী ছিলেন। তার বিপরীতে সুফিয়ান চৌধুরীও প্রার্থী ছিলেন। তিনি ১৯৮৮ সালে বিশ্বনাথ উপজেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

১৯৭৫-১৯৭৬ সালে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন। ২০০৮ সালে তৃণমূলের ভোটেও জয়লাভ করে কেন্দ্র থেকে নৌকার মনোনয়ন পান। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবেও কাজ করেছেন। বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগকে বুকে লালন করেন বলেই বিশ্বনাথের ৫টি ইউনিয়নে নৌকার শোচনীয় পরাজয়ে নেতৃবৃন্দের ব্যর্থতা নিয়ে কথা বলেছেন এবং আওয়ামী লীগকে আগামীতে ঢেলে সাজানোর আহ্বান জানিয়েছেন। বিশ্বনাথের প্রথম পৌরসভা নির্বাচনে ওই তথাকথিত নেতৃবৃন্দের ভুলেই ব্যক্তি মুহিবুর রহমানের কাছে নৌকার শোচনীয় পরাজয় ঘটে। শুধু তাই নয়, এই তথাকথিত নেতৃবৃন্দের কারণে ইউনিয়ন নির্বাচনেও নৌকার শোচনীয় পরাজয় ঘটেছে।’


বিবৃতিতে পৌর কাউন্সিলররা আরও বলেন, ‘বিএনপি নেতা এম. ইলিয়াস আলীর শাসনামলে বিশ্বনাথে কেউ যখন আওয়ামী লীগের নাম নিতে সাহস পায়নি, তখন এই মুহিবুর রহমানই মাঠে নেমেছিলেন এবং সিলেট জেলায় তিনিই একমাত্র ইলিয়াস আলীর অন্যায় কার্যকলাপের বিরুদ্ধে মাঠে সোচ্চার ছিলেন।

নিজেদের ভুল না শোধরে একজন জনপ্রিয় নেতা মুহিবুর রহমানের বিরুদ্ধে তাদের এই বিবৃতি-বক্তব্য শাক দিয়ে মাছ ঢাকা ছাড়া আর কিছুই নয়। জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে এই তথাকথিত নেতৃবৃন্দের এমন বক্তব‌্যের মাধ‌্যমে পক্ষান্তরে বিএনপি-জামায়াত ও দুর্নীতিবাজদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।’
তাই, জাতীয় নির্বাচনের আগে বিশ্বনাথের আওয়ামী লীগে শুদ্ধি অভিযান চালিয়ে বিএনপি-জামায়াতের প্রেতাত্মা তথাকথিত ওই নেতৃবৃন্দের হাত থেকে দলকে বাঁচাতে জেলা ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের হস্তক্ষেপ কামনা করেন পৌর কাউন্সিলররা।


বিবৃতিদাতারা হলেন উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য, বিশ্বনাথ পৌরসভার প্যানেল মেয়র রফিক হাসান, উপজেলা শ্রমিক লীগের কার্যনির্বাহী সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস‌্য কাউন্সিলর ফজর আলী, পৌর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য কাউন্সিলর বারাম উদ্দিন, বিশ্বনাথ উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর লাকী বেগম, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রাসনা বেগম, সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাবিনা ইয়াসমিন।

বিশ্বনাথনিউজ২৪ডটকম / বিএন২৪

আরও খবর

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত