সমুজ আহমদ সায়মন :: চলতি মৌসুমে আউশের জমিতে এখন রোপিত চারা গঁজিয়ে ওঠার সময়। তবে বৃষ্টিপাত না হওয়ার কারণে মাঠঘাট শুঁকিয়ে জমিজমা চৌচির হয়ে গেছে। ফলে সিলেটের গোটা বিশ্বনাথ উপজেলার কৃষকরা আউশের চাষাবাদ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। অনেক কৃষকরা জমিতে আউশের চারা রোপন করতে না পারায় দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন।
প্রকৃতিতে প্রচন্ড দাবদাহে অনেক কৃষকের আউশের বীজতলাও পুড়ে ছারখার হচ্ছে। কৃষকরা এক পশলা বৃষ্টির জন্য প্রতিনিয়ত তাকিয়ে আছেন আকাশের পানে।
এদিকে বৃষ্টি না হওয়ায় এবং খাল বিলে পানি না থাকায় কৃষকরা জমিও তৈরি করতে পারছেন না। যারা বীজতলায় বীজ বপন করেছিলেন তাদের কারো কারো বীজতলায় চারা রোদে শুঁকিয়ে নষ্ট হতে চলছে। কেউ কেউ সেচ দিয়ে কোনমতে জমিতে হাল চাষ করলেও পরের দিন তা আবার শুঁকিয়ে যাচ্ছে। শুষ্ক জমি নিয়ে অপেক্ষার সময়টুকুও হারিয়ে ফেলেছেন এখানকার কৃষকরা। আউশ মৌসুমের শেষলগ্নে বৃষ্টিপাত কম থাকায় আউশ চাষাবাদ থেকে অনেকটাই মুখ ফিরিয়ে নিতে বাধ্য কৃষকরা। এভাবে চলতে থাকলে এবার গোটা উপজেলায় আউশের আশাটুকু হাতছাড়া হবে বলে জানিয়েছেন অনেক কৃষকরা।
কৃষক মনোফর আলী বলেন, ‘আমি প্রতি বছর আউশ ও আমন ধান চাষ করি। এবার বৃষ্টি নেই। খালবিলও শুঁকিয়ে গেছে। তাই পানির অভাবে আউশ রোপন করতে পারছিনা। জমিতে যা রোপন করেছিলাম সেগুলো নষ্ট হতে চলছে। এমন অবস্থা বিরাজ থাকলে এবার আউশের ফসল থেকে মনে হয় বঞ্চিত হতে পারি।’
কৃষক মরম আলী বলেন, ‘এবার খরার কবলে পড়ে আউশ ক্ষেত ব্যাহত হচ্ছে। জমি ফেটে চৌচির। সব রোপিত চারা নষ্ট হয়েছে। যা কপালে আছে তাই হবে।’
কৃষক রমজান জানান, ‘বৈরি আবহাওয়ার কারণে এ বছর আউশের চারা রোপন করতে বিলম্বিত হওয়ায় তিনি অনেকটা হতাশ। দুই এক দিনের মধ্যে বৃষ্টি হলে এবং দ্রুত চারা রোপন করতে পারলে ফলন কিছুটা হলেও ভাল হবে।