বিশ্বনাথ নিউজ২৪:: সকাল থেকেই ঘন কুয়াশা ছিল। সারাদিন সূর্য দেখা যায়নি। সন্ধ্যার পর পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে। এর মধ্যে উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামে প্রচন্ড শীতে স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন।
দুই জেলার স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, শীতের কারণে তাদের স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে। ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমার, গঙ্গাধর, তিস্তা ও ডালা নদীর তীরে এবং চারিত্রিক এলাকায় বসবাসকারী মানুষ চরম দুর্ভোগের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। শ্রমিকরা কাজ খুঁজতে বাইরে যেতে পারছে না।
পাশাপাশি, তৃণভূমিতে বসবাসকারী বেশিরভাগ মানুষের শীতের কামড় থেকে রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় শীতের পোশাক নেই। নতুন জামাকাপড়ের সামর্থ্য নেই। তাই একান্ত প্রয়োজন ছাড়া কেউ বের হচ্ছেন না। একমাত্র খড়ের আগুন তাদের শীত থেকে বাঁচার আশায় আলো হয়েছে।
লালমনিরহাট সদর উপজেলার তিস্তা নদীর চর কলমতি এলাকার দিনমজুর ইউনুস আলী (৫০) বলেন, “আমাদের কাছে কোনো কম্বল নেই। আমি জেব্রা ঝোপ সংগ্রহ করে তা জ্বালিয়ে দিয়েছি। তার পরিত্রাণ নিয়ে শীত হতে রেহাই পাই।
কুড়িলগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া মনিটরিং অফিসের প্রধান তুহিন মিয়ার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শনিবার সকাল ৯টায় এখানকার তাপমাত্রা ছিল ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ৬ দিনের এখানে রেকর্ড করা গড় তাপমাত্রা প্রায় একই।
তুহিম মিয়া আরো বলেন, “তবে রাতে ঠান্ডা আরও বেড়ে যায়।”