নিজস্ব প্রতিবেদক :: পিঠা উৎসব বাঙালী আর বাংলাদেশের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। সেটা আমাদের অস্বীকার করার কোন সুযোগ নেই। তবে নগর সংস্কৃতির প্রভাবে আজ তা অনেকটাই বিলুপ্তির পথে। হাজার বছর আগ থেকে কৃষকের ঘরে হেমন্তের ফসল উঠলে তৈরী হত পিঠা। সেই ধারাবাহিকতা চলতো শীতকাল পর্যন্ত। এক সময় বাঙালীর যে কোন উৎসব আনন্দে মিশে থাকতো রকমারী পিঠা।
হারিয়ে যাওয়া পিঠা নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের কাছে পরিচিত করতে সিলেটের বিশ্বনাথে অনুষ্ঠিত হয়েছে পিঠা উৎসব। ইংরেজী ভাষা শিক্ষা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান লার্নিং পয়েন্টের ১৮তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ৩য় বারের মতো দিনব্যাপী আয়োজন করা হয় এই পিঠা উৎসবের।
বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) বিশ্বনাথ পৌর শহরের আল-হেরা শপিং সিটিতে লার্ণিং পয়েন্ট ক্যাম্পাসে দিনব্যাপী আয়োজিত পিঠা উৎসবে গ্রামবাংলার পিঠা তৈরী করে প্রদর্শন ও বিক্রি করেন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। উৎসবের স্টলগুলোতে শোভা পায় ফুজুরু, ডিমপুরি, নুনের বড়া, ভাপা ও জামাই পিঠাসহ প্রায় ৫০ রকমের বাহারি পিঠা-পায়েস।
প্রতিষ্ঠানের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের মিলন মেলায় পরিণত হয় এই উৎসব। এতে অংগ্রহন করতে পেরে আনন্দিত শিক্ষার্থীরা। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে পিঠা উৎসবের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের জন্য বালিশ বদল, মিউজিক্যাল চেয়ার, বেলুন ফুলানো ও হিটলারের ছবিতে মুছ লাগানোসহ খেলাধুলার বিভিন্ন ইভেন্টের আয়োজন করা।
গ্রামবাংলার হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে ধারাবাহিকভাবে এই পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হবে এমনটাই প্রত্যাশা সবার।
লাণিং পয়েন্টের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান মঈন উদ্দিন বলেন, ‘স্পোকেন ইংলিশ ও কম্পিউটার প্রশিক্ষণের পাশাপাশি আমরা শিক্ষার্থীদের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করি এবং এরই অংশ হিসেবে আমাদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজেন আমরা গ্রামবাংলার ঐতিহ্য পিঠা উৎসব যুক্ত করেছি। ভবিষ্যতেও এ ধরণের আয়োজন আমাদের অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ।’