বিশ্বনাথনিউজ২৪ :: সিলেটের বিশ্বনাথে ২৫ অক্টোবর রাতে ঘাতকদের হামলায় নিহত হন অটোরিকশা চালক (সিএনজি) সাইফুল ইসলাম (২৮)। তিনি উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের চরচন্ডি গ্রামের হাফিজ আব্দুল মান্নানের ছেলে। সাইফুল ইসলামের মৃত্যুর পর নিহতের পিতা বাদী হয়ে বিশ্বনাথ থানায় ৪ জনকে আসামী করে মামলা করেন। মামলা নং ১৪। সাইফুলের হত্যাকারীদের সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন তার পিতা হাফিজ আব্দুল মান্নান।
এছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা হিসেবে আরো ৩/৪ জনকে আসামী করা হয়। মামলার পর থানা পুলিশ এজাহার নামীয় আসামী চরচন্ডি গ্রামের মৃত: আব্দুল গফুরের ছেলে নূরুল আমিন (৪৫), তার ভাই নূরুল ইসলাম (৫০) ও আনরপুর গ্রামের আপ্তাব আলীর পুত্র সুন্দর আলীকে (৩০) পুলিশ গ্রেফতার করে। বর্তমানে তারা জেলহাজতে রয়েছেন। মামলার ৪নং আসামী চরচন্ডি গ্রামের নূরুল ইসলামের ছেলে সেবুল মিয়া (২৫) এখনও পলাতক রয়েছে। সে দেশের বাহিরে যাওয়ার শংকা রয়েছে বলে নিহত সাইফুলের পরিবারের ধারনা।
নিহত অটোরিকশা চালক সাইফুল ইসলামের পিতা হাফিজ আব্দুল মান্নান বলেন, ঘাতকেরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আমার ছেলেকে হত্যা করে। অটোরিকশা (সিএনজি) বন্ধ করে বাড়ীতে প্রবেশ করা মাত্রই ৪ জন ঘাতক দারালো চাকু দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে আমার ছেলেকে খুন করে ফেলে যায়। ঘাতকদের অমানবিক আচরণে বাবা হিসেবে নিজেকে বড় অসহায় মনে হচ্ছে।
ছেলের সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানিয়ে আরো বলেন, আমার মৃত্যুর পূর্বে ছেলের বিচার দেখে যেতে চাই। আমার মৃত্যুর পূর্বে ছেলের ঘাতকদের বিচার দেখে গেলে পরকালে শান্তি পাব। তিনি সরকার ও পুলিশ প্রশাসনের কাছে ছেলে হত্যাকারীদের দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্থি দাবি করেন। ছেলেকে কুপানোর সময় তার চিৎকার শুনে ভায়ের স্ত্রী এবং আমার অন্যান্য ছেলে মেয়ে আসলে তাদেরকেও ঘাতকেরা কুপিয়ে জখম করে। এখনও আশংকা জনক অবস্থায় রয়েছেন আমার ভাইয়ের স্ত্রী।
তিনি আরো বলেন, বিবাদীদের সাথে জায়গা নিয়ে বিরোধ ছিল। বিরোধের কারণে মামলা মোকদ্দমা ছিল। আসামীরা আমার স্ত্রী এবং সন্তানদের খুন ও জখমের হুমকি দিয়েছিল ঘটনার পূর্ব থেকেই।