নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নুনু মিয়াকে এক হাত নিলেন পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র মুহিবুর রহমান। পৌরসভার প্রথম এই মেয়রের অভিযোগ, ‘এই উপজেলা চেয়ারম্যানকে (নুনু মিয়াকে) কেউ ভোট দেয় নাই। সে ভোট ডাকাতি করে চেয়ারম্যান হয়ে গেছে। এটা অশিক্ষিত। জাল ভোট দিয়ে, ভোট চিনিয়ে নিয়ে এখন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছে। এখন তার পেশাটাকি? একটাই তার পেশা। টিউবওয়েল দিতে ২৫ হাজার ৫০ হাজার করে টাকা নেয়, ঘুষ খায়। আর ভূঁয়া প্রকল্প তৈরি করে হাতিয়ে নিচ্ছে টাকা। এইটা হচ্ছে তার পেশা।’
তিনি বলেন, ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) অত্যান্ত সুষ্ঠু-সুন্দর ভাবে বিশ্বনাথ পৌরসভা নির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ পদ্ধতি যদি বহাল থাকে তাহলে জনগণ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে। তারা বলতে পারবে, আমরা ভোট দিয়ে কাউকে নির্বাচিত করতে পেরেছি।
বুধবার (৯ নভেম্বর) বিকেল ২টায় পৌরশহরের নতুনবাজার এলাকায় পৌরবাসির দেয়া গণসংবর্ধনায় তিনি এ অভিযোগ করেন। মুহিবুর রহমান আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়ন চান। কিন্তু দালাল-বাটপাররা তা হতে দিচ্ছেনা। ওদের কার্যক্রম প্রধানমন্ত্রী জানেন না। আমরা দালাল-বাটপারদের প্রতিহত করে জনগণকে সাথে নিয়ে টেকসই উন্নয়ন উপহার দেব ইনশাআল্লাহ।
তিনি বলেন, বিশ্বনাথের দূর্যোগময় মূহুর্তে ১৯৮৫ সালে দলমত নির্বিশেষে আমাকে প্রথম উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছিলো বিশ্বনাথবাসী। সে সময় দালাল-বাটপাররা প্রশাসনকে জিম্মি করে তাদের ফায়দা লুটতো। গরীব মানুষ তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত ছিলো। আমি চেষ্ঠা করেছি বিশ্বনাথকে দালালমুক্ত করার। সে সময় বিশ্বনাথে কলেজ ছিলো না, স্কুলও কম ছিলো। প্রথমেই আমি শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছিলাম, অনেক হাইস্কুল, প্রাইমারী স্কুল করেছি। সে সময় রাস্তাঘাট ছিলো না। আমি অনেক রাস্তাঘাট করেছি। উপজেলার উন্নয়নের ভিত্তি তৈরী করেছিলাম। এখন আপনারা আবার আমাকে প্রথম মেয়র হিসেবে নির্বাচিত করেছেন। আমি পৌরবাসীর কাছে কৃতজ্ঞ।
সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বশির উদ্দিন’র সভাপতিত্বে ও ধারাভাষ্যকার একেএম তুহেমে’র পরিচালনায় গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি হাজী মজম্মিল আলী, বিশ্বনাথ ডিগ্রি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ সিরাজুল হক, জানাইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক নিশি কান্ত পাল, আওয়ামী লীগ নেতা শেখ শহিদুল ইসলাম, সুফি শামসুল ইসলাম, মাসুক এ রাব্বানী, ৩নং ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত কাউন্সিলর মোহাম্মদ সুমন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জাকারিয়া আহমদ। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন মেয়র মুহিবুর রহমানের বড় ছেলে আদনান মুহিব রহমান। শুরুতেই পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন সংগঠক চান মিয়া। এছাড়া অনুষ্ঠানে বিপুল সংখ্যক মানুষ অংশগ্রহন করেন।