বিশ্বনাথনিউজ২৪:: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাব কাটতে না কাটতে। আরেকটি দুঃসংবাদ এসেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে। ডিসেম্বরে আরেটি ঘূর্ণিঝড় হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে । এ অবস্থায় সবাইকে সতর্ক ও তৈর থাকতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আগারগাঁও আবহাওয়া অধিদপ্তরে সিত্রাংপরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আবহাওয়াবিদ আবদুল মান্নান এ তথ্য জানান। সিত্রাং বাংলাদেশে স্থল ও জলে মোট ১৫ ঘণ্টা কাটিয়েছে, বলে তিনি জানান। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ উপকূলসহ সারাদেশের আবহাওয়া স্বাভাবিক থাকবে। সর্বাধিক বৃষ্টিপাত বরিশাল জেলায় ৩২৪ মিমি এবং ঢাকায় ২৫৫ মিমি। দিনাজপুর ও পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় বৃষ্টি হয়নি।
এর আগে গতকাল সোমবার মধ্যরাতে আবহাওয়াবিদ ডক্টর মোহাম্মদ আবু কালাম মল্লিকের সাক্ষরিত এক বার্তাতে বলা হয় যে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং উপকূলে দুর্বল হয়ে উপকূলীয় নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ছে। মঙ্গলবার এটি গুরুত্বহীন হয়ে উঠবে বলে জানানো হয়।
বার্তাতে আরও বলা হয়, মংলা, পায়রা ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর দুর্যোগ সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপৎ সংকেত সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেয়া হয়েছে।
অমাবস্যা তিথি ও বায়ুচাপ পার্থক্যের প্রভাবে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের উপকূলীয় অঞ্চল এবং তাদের চরগুলোর দূরত্ব ও অতিরিক্ত চাপের কারণে। পার্থক্য দ্বীপ এবং নিচু এলাকায় স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ থেকে ৫ ফুট অধিক উচ্চতায় বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
এছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে এখন পর্যন্ত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।