Search
Close this search box.

মাস্টার কিই দ্বারা প্রাইভেটকার চুরি-সময় লাগে ১০সেকেন্ড

মাস্টার কিই দ্বারা প্রাইভেটকার চুরি-সময় লাগে ১০সেকেন্ড
Facebook
Twitter
WhatsApp

বিশ্বনাথনিউজ২৪:: কোনো ডিজিটাল টেকনোলজি ছাড়াই একটি মাস্টার কিই দ্বারা লক খুলে প্রাইভেটকার চুরি করতে টাইম লাগে মাত্র ১০ সেকেন্ড তাও আবার দিনে দুপুরে। রাজধানীর নানারকম সড়কে পার্কিং করা গাড়ি মুহূর্তেই হাওয়া করে দিচ্ছে সংঘবদ্ধ চোরচক্র।

গাড়ি চুরির কয়েকটি নালিশের পর চারজনের একটি চক্রকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। পুলিশ বলছে, ২ শতাধিক গাড়ি আট বছরে চুরি করেছে চক্রটি।

বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাতেরবেলা রাজধানী ঢাকা, ময়মনসিংহ, নরসিংদী এবং গাজীপুরের নানারকম জায়গা হতে এই চোরচক্রের চার সক্রিয় সদস্যকে চারটি প্রাইভেটকারসহ গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগ।

গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন: পারভেজ, কামাল হোসেন গাজী, বাবু মিয়া  নাজমুল হাসান ও সুমন। এ সময় তাদের কাছ থেকে চারটি চোরাই প্রাইভেটকার, পাঁচটি চোরাই কাজে ব্যবহারকৃত মুঠোফোন ফোন ফোন ও দুটি মাস্টার কি উদ্ধার করা হয়।

সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ১৩ সেপ্টেম্বর, সকাল বেলা বেলা ৯টা। অন্যান্য দিনের মতোই তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকার একটি সড়কে গাড়ি পার্কিং করে অফিসে ঢোকেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সাইদুল হাসান। টি-শার্ট পরা এক যুবক গাড়ির নিকট এসে দাঁড়ান। ফোনে কথা বলার ভঙ্গি করে আশপাশের সিচুয়েশন পরিদর্শন করতে থাকেন। আশপাশে কারোর উপস্থিতি না দেখে টার্গেট প্রাইভেটকারটির দরজা খুলে ভেতরে ঢোকেন। সাথে থাকা মাস্টার কি দ্বারা দেয়া হয়ে যায় স্টার্ট। গাড়ি নিয়ে দেন চম্পট।

গাড়ি চুরির মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তারের পর জানা যায়, এরা একসময় ছিলেন পরিবহন শ্রমিক। গ্যারেজ মালিকদের লোভে এ পথে নামেন তারা। কারওয়ান বাজার ও উত্তরা এলাকার নির্দিষ্ট কতিপয় জায়গা হতে মাস্টার কি কালেক্ট করেন। মূলত পুরনো টাইপের প্রাইভেটকার তাদের টার্গেট।

গোয়েন্দারা বলছেন, চুরির পর গ্যারেজে দালাল বা সিন্ডিকেটের নিকট বিক্রি করা হয়ে যায় গাড়ি। তারা আবার দোকানে দোকানে পার্টস আলাদা করে বিক্রি করেন। কেবল এইজন্য নয়, ইঞ্জিন আর রেজিস্ট্রেশন নম্বরের ভুয়া কাগজপত্র প্রস্তুত করেও বিক্রি করা হয়ে যায় চোরাই গাড়ি।

ঢাকা গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ বলেন, একটা গ্যারেজের মালিকের সঙ্গে তারা চুক্তিবদ্ধ হন। বলেন, ‘আমরা ব্যাটারি, গাড়ি ও মোটরসাইকেল চুরি করব। আপনারা বিক্রির ব্যবস্থা করবেন।’

তেজগাঁওয়ে চুরি হওয়া গাড়ি ব্যতীতও ধানমন্ডি ও গাজীপুর এলাকা থেকে এই চক্রের চুরি করা প্রাইভেটকার উদ্ধার করা হয়েছে।

বিশ্বনাথনিউজ২৪ডটকম / বিএন২৪

আরও খবর

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত