Search
Close this search box.

গ্যাস সংকটে কমেছে বিদ্যুৎ উৎপাদন, বেড়েছে লোডশেডিং

Facebook
Twitter
WhatsApp
বিশ্বনাথ নিউজ ২৪ ::: বিশ্ববাজারে গ্যাসের দাম আবার বৃদ্ধি পেয়েছে । তাই খোলাবাজার (স্পট মার্কেট) থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) কিনছে না সরকার। দেশে কমে গেছে গ্যাসের সরবরাহ। ফলে গ্যাসের বিশাল ঘাটতির কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে। দেশব্যাপী বাড়ছে বিদ্যুতের লোডশেডিং।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের অফিসিয়াল তথ্য অনুযায়ী, সোমবার (৪ জুলাই) চট্টগ্রামের গ্রাহকদের জন্য বিদ্যুতের চাহিদা ছিল এক হাজার ৪৭৫ মেগাওয়াট। সেখানে লোডশেডিং ধরা হয়েছে ১৫৫ মেগাওয়াট। ঢাকায় সোমবার পাঁচ হাজার ৪৩২ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে সম্ভাব্য লোডশেডিং নির্ধারণ করা হয় ৩৮০ মেগাওয়াট। দেশের ৯টি বিভাগীয় জোনে এইদিন ১৫ হাজার ৬১ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদার বিপরীতে এক হাজার ২৭৩ মেগাওয়াট সম্ভাব্য লোডশেডিং নির্ধারণ করে পিডিবি।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) তথ্য অনুযায়ী, আগের দিন ৩ জুলাই পিক আওয়ারে সারাদেশে ১৫শ মেগাওয়াট লোডশেডিং করে পিডিবি। তার মধ্যে ঢাকায় ৪০০ মেগাওয়াট, চট্টগ্রামে ২০০ মেগাওয়াট, খুলনা ও রাজশাহী অঞ্চলে ২২০ মেগাওয়াট করে, কুমিল্লা অঞ্চলে ১৪০ মেগাওয়াট, ময়মনসিংহ অঞ্চলে ১২০ মেগাওয়াট, সিলেটে ৫০ মেগাওয়াট এবং রংপুর অঞ্চলে ১৫০ মেগাওয়াট লোডশেডিং করা হয়। তবে গত দুইদিনে বরিশাল অঞ্চলে কোনো লোডশেডিং হয়নি বলে পিডিবির প্রতিবেদনে দেখা যায়।

সাধারণত, বিদ্যুৎ উৎপাদন ১৩০০-১৪০০ মেগাওয়াটের মধ্যে ওঠা-নামা করে এবং এই বছরের ১৬ এপ্রিল সর্বোচ্চ উৎপাদন ১৪ হাজার ৭৮২ মেগাওয়াট রেকর্ড করা হয়েছিল।

অনেক জ্বালানি বিশেষজ্ঞ বিপিডিবি’র পরিসংখ্যান বিশ্বাস করেন না। বরং লোডশেডিং ও বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্নের মাত্রা সরকারি পরিসংখ্যানের চেয়ে বেশি বলে মনে করেন তারা।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞ এবং কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম শামসুল আলম জানান, ‘বিপিডিবি কখনই তার পাওয়ার সাপ্লাই পরিস্থিতির প্রকৃত চিত্র প্রকাশ করে না।’

বিপিডিবি কর্মকর্তারা গ্যাস সরবরাহের ঘাটতির জন্য বিদ্যুৎ উৎপাদন হ্রাসকে দায়ী করেছেন।

তারা জানান, তাদের বিদ্যুৎ কেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহের ঘাটতির কারণে ৩৬৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের উৎপাদন বন্ধ রাখতে হচ্ছে।

সম্প্রতি বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহে সংকটের কথা স্বীকার করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি লিখেছেন: ‘গ্যাসের ঘাটতির কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। ফলে অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছে। গ্যাস সরবরাহের উন্নতি হলে বিদ্যুৎ উৎপাদন সাধারণত স্বাভাবিক হবে।’

বিশ্ব বাজারে প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজি ৩৫ ডলারের বেশি বিক্রি হচ্ছে, যেখানে কয়েক মাস আগে তা ছিল ২৫ ডলারের নিচে। ফলস্বরূপ, স্থানীয় গ্যাস সরবরাহ নিয়মিত ৩৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট থেকে প্রতিদিন দুই হাজার ৮২২ মিলিয়ন ঘনফুট কমে গেছে। যার ফলে প্রায় ৭০০ মিলিয়ন ঘনফুট এর ঘাটতি সৃষ্টি হয়।

বিশ্বনাথনিউজ২৪ডটকম / বিএন২৪

আরও খবর

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত