নিজস্ব প্রতিবেদক :: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ এমপি বলেছেন, ‘বিএনপির দুই একজন নেতাকে বলতে শোনেছি, সরকার নাকি বন্যার্তদের সহায়তা করে নাই। অথচ, আমি দেখেছি বন্যার শুরু থেকেই আওয়ামী লীগের প্রত্যেকটি নেতাকর্মী বন্যার্তদের সহায়তায় ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। কিন্তু বিএনপিই বন্যার্তদের পাশে নেই। তাদের অতীতের অভিজ্ঞতাও নেই। অতীতের রেকর্ডও নেই। ৯১ সালে বেগম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। সে সময় ২৯শে এপ্রিল চট্টগ্রামে একটি ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড় হয়েছিল। যে ঝড়ে ওই এলাকার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল। লক্ষাধিক মানুষ মারা গিয়েছিল। সেদিন রাত্রে ভোরবেলাতে ঝড় হয়েছে, সারাদেশের মানুষ উৎকণ্ঠায়-রেডিও টেলিভিশনে খবর আসছে। তখন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ঘুমিয়েছিলেন। দুপুর ২টার সময় উনার ঘুম ভাঙ্গে। পরে পার্লামেন্টে বিরোধীদল যখন এটা নিয়ে কথা বলল, এতবড় ঘূর্ণিঝড় হল, লক্ষাধিক মানুষ মারা গেল, ওই সময় প্রধানমন্ত্রী কিভাবে ২টা পর্যন্ত ঘুমিয়ে থাকলেন! তখন খালেদা জিয়া বলেছিলেন, যত মানুষ মারা যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল, তত মানুষ মরে নাই। এটাই ছিল বিএনপির রাজনীতি।’
তিনি সোমবার (২৭ জুন) দুপুরে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে বিশ্বনাথের লামাকাজী ইউনিয়নের দেড়শ বন্যার্ত পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন লামাকাজী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) পুলক ভট্টাচার্য্য।
মাহবুব-উল-আলম হানিফ আরও বলেন, ‘আমাদের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৮১ সালে দেশে আসার পর থেকে যেকোনো দুর্যোগে জনগণের পাশেই আছেন। ৮৮ সালের বন্যার সময় তিনি আশ্রয় শিবিরে বন্যার্ত মানুষকে নিজ হাতে রুটি বানিয়ে খাইয়েছিলেন। গণমানুষের নেত্রী শেখ হাসিনা আশ্বস্ত করেছেন, তিনি যতদিন আছেন, দেশের কোনো মানুষ না খেয়ে কষ্ট পাবে না। সকল বন্যার্তদের পূণর্বাসন করা হবে। যাদের ঘরবাড়ি নষ্ট হয়েছে, তাদের ঘরবাড়ি পূণর্নির্মাণের জন্যে সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহায়তা করা হবে।’
উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এনামুল হক এনাম মেম্বারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) শফিকুর রহমান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য ও বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম নুনু মিয়া।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শাহ আসাদুজ্জামান আসাদ, সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) ফারুক আহমদ, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) পার্থসারথী দাশ পাপ্পু প্রমুখ।