মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম :: বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী পানির ঢলে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে সিলেট-ছাতক রেলপথ। পানির তীব্র স্রোতে রেল লাইলেন অধিকাংশ স্থানে মাটি স্লীপারের নীচের মাটি সড়ে সৃষ্টি হয়েছে বিশাল গর্ত, উপড়ে গেছে লাইন। ফলে এই রেলপথটি স্বাভাবিক হওয়া নিয়ে রয়েছে অনিশ্চয়তা।
সিলেট হতে ছাতক পর্যন্ত প্রায় ৩৫ কিঃমিঃ দীর্ঘ রেলপথটি ১৯৫৬ সালে নির্মাণ করা হয়। নির্মাণ করার পর হতে রেলগাড়ি আপন গতিতে তার যাত্রা শুরু করে। উক্ত লাইনে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত ট্রেন যাত্রীদের সেবায় একনিষ্ট ছিল। ট্রেনে প্রায় ৪৫ মিনিটে ছাতক হতে সিলেট পৌছতে পারতেন যাত্রীগণ। সিলেট হতে ছাতক পৌছতে ট্রেন পতিমধ্যে ৩টি ষ্টেশনে (খাজাঞ্চীগাঁও, সৎপুর ও আফজালাবাদ) যাত্রাবিরতি করে। ছাতক, আফজালাবাদ, সৎপুর ও খাজাঞ্চীগাঁও উক্ত ৪টি রেলষ্টেশনের পাশ্ববর্তী এলাকার হাজার হাজার যাত্রী সিলেট শহরে পৌছতে একসময় এই ট্রেনই ছিল যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম।
১৯৮৫ সাল থেকে ওই রেলপথে মন্দাভাব দেখাদেয়। শিল্প নগরী ছাতক থেকে চুনা পাতর, সিমেন্ট, স্লিপার, বালু, বোল্ডার ও ভাঙা পাতর দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হতো রেলপথে। বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের শুরু থেকে এ পর্যন্ত প্রায় আড়াই বছর ধরে সিলেট-ছাতক রেলপথে সকল ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
২য় ধাপে আকস্মিক বন্যায় পানির তীব্র স্রোতে রেল লাইলেন অধিকাংশ স্থানে মাটি স্লীপারের নীচের মাটি সড়ে সৃষ্টি হয়েছে বিশাল গর্ত, উপড়ে গেছে লাইন। ফলে এই রেলপথটি স্বাভাবিক হওয়া নিয়ে রয়েছে অনিশ্চয়তা।