বিশ্বনাথনিউজ২৪ :: পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন এমপি বলেছেন,সরকার স্থিতিশীল অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে ১৩ বছরে দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। দেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে। ২০৩০ সালের মধ্যে দারিদ্রমুক্ত হবে বাংলাদেশ। ২০৪১ সালের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার স্বপ্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই আমরা অর্জন করতে পারবো। এজন্য আত্ম বিশ্বাস ও প্রত্যয় বাড়ানো অপরিহার্য। তিনি আরও বলেন, আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলে মানুষের জীবনমান উন্নয়ন হয়। আগামীতেও হবে। এজন্য শেখ হাসিনার সরকার বার বার দরকার। তিনি সমাজসেবা বিভাগের মাধ্যমে সামাজিক নিরাপত্তা বেস্টনীর আওতায় ব্যাপক কর্মযজ্ঞ বাস্তবায়ন হচ্ছে উল্লেখ করে বলেন, যারা আজ ভাতা নিচ্ছেন, তারা আগামীতে ভাতা দিবেন। এখানে কাজ করলে এবং বড় হওয়ার প্রচেষ্টা চালালে জিরো থেকে হিরো হওয়া যায়।
তিনি সমাজসেবা বিভাগের জনবল সংকট নিরসন ও শূণ্যপদে লোক নিয়োগের প্রচেষ্টা চালবেন বলে আশ্বাস দেন। সেই সাথে বাগবাড়ী ছোট মনি নিবাস,শিশু পরিবার, শেখ রাসেল প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রসহ যে সব প্রতিষ্ঠানে আসন খালি রয়েছে তা পূরণ করার জন্য সংশ্লিস্টদের দৃষ্টি দেয়ার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি শুক্রবার সকালে সিলেট বিভাগীয় সমাজসেবা কার্যালয়ের উদ্যোগে বাগবাড়িস্থ সমাজসেবা কমপ্লেক্সে বিভাগীয় আন্ত: প্রাতিষ্ঠানিক বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশ সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মফিজ উদ্দিন আহম্মদ, বাংলাদেশ জাতীয় সমাজ কল্যাণ পরিষদের নির্বাহী সদস্য,বেগম রোকেয়া পদকপ্রাপ্ত ও সাবেক এমপি সৈয়দা জেবুন্নেছা হক, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুক উদ্দিন আহমেদ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন এমপির সহ ধর্মিনী সেলিনা মোমেন ।
সমাজসেবা অধিদফতরের আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রভাষক সানজিদা সুলতানা ও সামাজিক প্রতিবন্ধী মেয়েদের প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের সহকারী ব্যবস্থাপক লুৎফুর রহমানের যৌথ সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিভাগীয় সমাজসেবা কার্যালয়ের পরিচালক মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম।
তিনি বলেন,জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি মানবিক রাষ্ট্র ও সমাজ বিনির্মানের স্বপ্ন দেখতেন। তিনি সোনার বাংলার স্বপ্ন পূরণে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। তিনি মানুষের বিভিন্ন মৌলিক অধিকার বাস্তবায়নে কাজ করে গেছেন। সুফল এখন এদেশের মানুষ ভোগ করছে। সকল ক্ষেত্রে তাঁর দূরদর্শিতা ছিল। জাতির পিতার মননে ছিল মানুষের কল্যাণ। এরই ধারাবাহিকতায় তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ হাতের ছোঁয়ায় দেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে। তিনি সামাজিক নিরাপত্তা বেস্টনীর আওতায় বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, তৃতীয় লিঙ্গের (হিজড়া) ভাতাসহ বিভিন্ন্ কার্যক্রম সমাজ কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের সমাজসেবা অধিদফতরের মাধ্যমে প্রান্তিক পর্যায়ে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। এজন্য বিশ্বের দরবারে আজ বাংলাদেশ উন্নয়নের রুল মডেল। প্রধানমন্ত্রীর ভিশন সবাইকে এক সাথে নিয়ে এগিয়ে যাওয়া। কাউকে পিছিয়ে রেখে দেশের সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব নয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিলেট বিভাগীয় সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো.আব্দুর রফিক,হবিগঞ্জ জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ পরিচালক মো. হাবিবুর রহমান,সিলেট মহানগর যুব লীগের আহ্বায়ক আলম খান মুক্তি, জাতীয় মহিলা সংস্থা সিলেট এর চেয়ারম্যান লায়ন হেলেন আহমেদ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতাল সমাজসেবা অফিসার খলিলুর রহমান,পবিত্র গীতা পাঠ করেন-কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা অফিসার জনি রঞ্জন দে । এর আগে সকাল সকাল সাড়ে ১০টায় বৃষ্টি ভেজা সকালে জাতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন এমপি জাতীয় পতাকা ও অলিম্পিক পতাকা উত্তোলন করেন। পরে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন এবং নিবাসীদের কুচকাওয়াজের সালাম গ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে বিভাগীয় সমাজসেবা কার্যালয়ের আওতাধীন সিলেট,সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা, নিবাসীরা এবং উপজেলা পয়ায়ের কর্মকর্তারা অংশ নেন।