নতুন করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ছে অতি সংক্রামক ‘মাংকিপক্স’। এ পর্যন্ত বিশ্বের ১২টিরও বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে ভাইরাসটি। বাংলাদেশে এ ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশের প্রতিটি বন্দরে (স্থল, নৌ এবং বিমান) করোনার পাশপাশি বাড়তি নির্দেশনা জারি করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
রবিবার (২২ মে) বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর।
তিনি বলেন, এটি রুটিন প্রক্রিয়া। আমরা বন্দরগুলোতে চিঠি দিয়েছি। আমাদের থার্মাল স্ক্যানার আছে, তাতে ডিটেক্ট করা যাবে। কী কী উপসর্গ থাকতে পারে তাও আমরা জানিয়ে দিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের বন্দরগুলোতে চিকিৎসক যারা আছেন, সিভিল সার্জনদের কাছে বার্তা পাঠানো হয়েছে যে এই সংক্রান্ত কোনও রোগী পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিক নিকটস্থ সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে আইসোলেট করার জন্য। সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালগুলোকে আমরা আজ থেকে নির্দেশনা দিয়ে দেবো।
তিনি আরও বলেন, আমরা পোর্টগুলোকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করার জন্য বলছি। এখন পর্যন্ত এলার্মিং (উদ্বেগজনক) নয়।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, যাদের শরীরে ফুসকুড়ি রয়েছে, সম্প্রতি মাংকিপক্স নিশ্চিত কেস আছে এমন দেশগুলোতে ভ্রমণ করেছেন তাদের সন্দেহভাজন রোগীর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। একইসঙ্গে ফুসকুড়ি রয়েছে বা মাংকিপক্স রোগী হিসেবে নিশ্চিত বা সন্দেহভাজন’ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন; এমন ব্যক্তিদের সংস্পর্শে যারা এসেছিলেন তাদেরও এই তালিকায় নিতে হবে।
সন্দেহজনক ও লক্ষণযুক্ত রোগীর নিকটস্থ সরকারি হাসপাতালে বা ঢাকার সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে আইসোলেশনের ব্যবস্থা করারও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এতে আরও বলা হয়েছে, এমন তথ্য পাওয়া গেলে তা অধিদফতেরর রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা ও আইইডিসিআরে জানাতে হবে।