Search
Close this search box.

পদ নেই, তবুও বিশ্বনাথ পৌরসভায় দায়িত্ব পালন করছেন রুবী রানী!

Ayas-ali-Advertise
Facebook
Twitter
WhatsApp

বিশ্বনাথনিউজ২৪ :: সিলেটের বিশ^নাথ (সি গ্রেড’র) পৌরসভা, অর্থাৎ ‘গ’ শ্রেনীর পৌরসভা। আর ‘গ’ শ্রেনী হওয়ায় পৌরসভার কাঠামোতে উচ্চমান সহকারী কোন পদ নেই। তবে, পদ না থাকলেও প্রায় ১৪ মাস ধরে উচ্চমান সহকারীর দায়িত্বপালন করছেন রুবী রানী দেব নামের এক কর্মকচারী। ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে অদ্যাবদি পর্যন্ত তিনি বিশ্বনাথ পৌরসভায় কর্মরত রয়েছেন। যদিও উচ্চমান সহকারী কিন্তু তারপরও পুরো অফিসেই তিনি দাপট খাটাতে চান।

তাছাড়া পৌরভায় কর্মকরত তার সিনিয়র পর্যায়ের কর্মকর্তারা অফিসে না এল তাদেরকে তিনি অনুপস্থিত দেখান। সম্প্রতি পৌরসভার নস্কাকার প্রশাসকের অনুমতি নিয়ে একদিনের ছুটিতে গেলে তাকে লাল কালি দিয়ে ৩দিনের অনুপস্থিতি (অ্যাবসেন্ট) দিয়েছেন বলে এক কর্মচারী জানিয়েছেন। আর পদ না থাকার পরও ওই পদে কর্মচারী নিয়োগ দেওয়াকেও ভিন্ন চুখে দেখছেন সচেতন মহল। এজন্য তারা পৌরসভা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের উদাসীনতাকে দায়ী করেছেন।

২০১৯ সালের ২১ অক্টোবর পৌরসভা ঘোষণার পর ৫ডিসেম্বর বিশ^নাথকে ‘গ’ শ্রেনীর পৌরসভা হিসেবে গেজেট প্রকাশ করা হয়। এর ১৪দিনের মাথায় ১৯ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতির আদেশের প্রেক্ষিতে বিশ্বনাথের তৎকালীন ইউএনও বর্ণালী পালকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এরপর ২০২০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি উপজেলা পরিষদের সরকারি একটি কোয়ার্টারের (২য় তলায়) আনুষ্ঠানিকভাবে পৌরসভার অস্থায়ী অফিস উদ্বোধন করেন ইউএনও বর্ণালী পাল।

খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, ২০২০ সালের ২১ ডিসেম্বর স্থানীয় সরকার বিভাগের (৪৬.০০.০০০০.০৬৪.১৯.০০২.১৫-১৪০৮) নং স্মারকের আদেশে জগন্নাথপুর পৌরসভা থেকে বদলী করা হয় উচ্চমান সহকারী রুবী রানী দেবকে। ২৫ ডিসেম্বর ওই উচ্চমান সহকারী পদে বিশ্বনাথ পৌরসভায় যোগদান করেন তিনি। পদ না থাকলেও ২০২১ সালের জানুয়ারি মাস থেকে অদ্যাবদি পর্যন্ত প্রায় ১৪মাস ধরে তিনি ওই পদে কর্মরত রয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পৌরসভার উচ্চমান সহকারী রুবী রানী দেব বলেন, পদ আছে কিনা? তা তিনি জানেন না। তবে, মন্ত্রণালয়ের আদেশে তিনি যোগদান করে চাকুরি করছেন। আর তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা দাবি করেছেন।

বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমান, প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দায়ী করে বলেন, পদ না থাকার পরও যদি কেউ ওই পদে কর্মরত থাকেন আর বেতন নেন, তাহলে তিনি সম্পুর্ন অবৈধভাবে সরকারের টাকা নিচ্ছেন।

বিশ্বনাথে দায়িত্বপ্রাপ্ত ছাতক পৌরসভার সচিব খান মোহাম্মদ ফারাভী বলেন, আপনার প্রশ্নের পর কাঠামো পর্যালোচনা করে দেখেছি ‘গ’ শ্রেনীর পৌরসভায় উচ্চমান সহকারী কোন পদ নেই। বিষয়টি আমি প্রশাসককে জানিয়েছি। এ বিষয়ে আমরা উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিকট চিটি লিখব।

পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নুসরাত জাহান বলেন, পদ না থাকলেও মন্ত্রণালয়ের আদেশে উচ্চমান সহকারী একজন কর্মরত আছেন। উর্ধ্বতন কমকর্তাদের বিষয়টি জানানো হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

বিশ্বনাথনিউজ২৪ডটকম / বিএন২৪