বিশ্বনাথনিউজ২৪ :: সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার চাইলধনী হাওরের লীজকৃত জায়গার সীমানা নির্ধারণ প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশে গত রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) চাউলধনী হাওর পরিদর্শন করেছেন বিশ্বনাথ উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার জীবন চন্দ্র দাশ, রামপাশা ইউনিয়নের সহকারী (ভূমি) কর্মকর্তা সত্যপ্রিয় ভট্রাচার্য্য ও দশঘর ইউনিয়নের সহকারী ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ভূমি) মোহাম্মদ জামিল আহমেদ।
জানা গেছে, ২০২১ সালের ২৮ জানুয়ারি হাওর ইস্যুতে মারামারিকালে ইজারাদারদের হাতে নিহত হন কৃষক ছরকুম আলী দয়াল (৭৫)। এঘটনার ৪ মাসের মাথায় গত ১ মে হাওর ইজারাদারদের ফাউন্ডার প্রবাসী সাইফুল আলমের গুলিতে নিহত হন চৈতন্নগরের স্কুলছাত্র সুমেল মিয়া (১৮)। এরপর হাওর এবং হাওরের কৃষক বাঁচানোর উদ্যোগ নেন চাউলধনী হাওর পাড়ের ২৪ গ্রামের বাসিন্দারা। এরই প্রেক্ষিতে ঢাকার হাইকোর্টে তারা সীমানা নির্ধারণের রিট আবেদন করেন। আবেদনে উল্লেখ করেন সাইফুল বাহিনী ১৭৮.৯৮ একর ভূমি লীজ নিলেও হাওরের প্রায় ১০ হাজার একর ভূমি জবর দখল করে অবৈধভাবে মাছ বিক্রি করেন। যার ফলে হাওরের সীমানা নির্ধারণ সম্পর্কে জানতে স্থানীয় ভূমি কর্মকর্তারা হাওর পরিদর্শন করেন।
হাওর পরিদর্শনকালে সরকারি কর্মকর্তারা ছাড়াও এসময় উপস্থিত ছিলেন ‘চাউলধনী হাওর ও কৃষক বাঁচাও আন্দোলন কমিটি’র প্রধান উপদেষ্টা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমান, চাউলধনী হাওর রক্ষা পরিষদ ইউকের যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ মোহাব্বত শেখ, চাউলধনী হাওর ও কৃষক বাঁচাও আন্দোলন কমিটির আহ্বায়ক আবুল কালাম, যুগ্ম আহ্বায়ক হাজী আরিফ উল্লাহ সিতাব, মাওলানা ছমির উদ্দিন, ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন ধন মিয়া, নিহত কৃষক ছরকুম আলী দয়ালের ভাতিজা কৃষক আহমেদ আলী, নিহত স্কুলছাত্র সুমেলের চাচা কৃষক নজির উদ্দিন, কৃষক আব্দুল মজিদ, আব্দুল করিম, পংকি মিয়া, সফিকুর রহমান, ময়না মিয়া, মাহফুজুর রহমান, ছালিক মিয়া, এখলাছুর রহমান, আছাক আলী, আনছার উদ্দিন, আফজল হোসেন, আব্দুল মতিন, মাস্টার আব্দুল করিম, সাবেক মেম্বার আব্দুল মজিদ, আব্দুল মনাফ, জাহিদুল হক, মানিক মিয়া, হুছন আহমদ, রুশন আলী, মতিউর রহমান, মজম্মিল আলী, আতাউর রহমান, ছুরত মিয়া, কুতুব আলী, আবুল কালাম আজাদ, মোস্তফা মিয়া, আফজল হোসেন, ইদ্রিছ আলী, হেলাল উদ্দিন, আব্দুল করিম, ময়নুর রহমান, আব্দুশ শহিদ ও জাহেদ মিয়া।