বিশ্বনাথনিউজ২৪ :: সিলেটের বিশ্বনাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন প্রিয়াঙ্কা রানীনাথ সঙ্গী (২২) নামে এক কলেজছাত্রী। বুধবার (১৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় এ ঘটনাটি ঘটে। প্রিয়াঙ্কা রানীনাথ উপজেলার অলংকারী ইউনিয়নের পূর্ব রহিমপুর (রামপুর) গ্রামের নরোত্তম দেবনাথের মেয়ে। তিনি সিলেটের মদনমোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অনার্স চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী।
পারিবারিক সূত্র জানায়, সিলেটের মদনমোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে লেখাপড়ার পাশাপাশি একটি এনজিও সংস্থার পরিচালিত স্কুলে শিক্ষকতা করতেন প্রিয়াঙ্কা। স্কুলটি তার পার্শ্ববর্তী মীরেরগাঁও গ্রামে। প্রতিদিনের ন্যায় বুধবারও ওই স্কুলে ক্লাস নিয়ে বিকেলে বাড়ি ফেরেন তিনি। মাকে সঙ্গে নিয়ে দুপুরের খাবারও খান। পরে মা পাশের জয়দেবনাথদের ঘরে মনসাদেবীর পূজায় চলে গেলে সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে ঘরে থাকা প্যারালাইজড বাবার চোখ ফাঁকি দিয়ে নিজ কক্ষের আঁড়ার সঙ্গে ওড়না ও পর্দার কাপড় পেচিয়ে গলায় ফাঁস নেন প্রিয়াঙ্কা।
এক পর্যায়ে পরিবারের সদস্যরা টের পেয়ে তাকে উদ্ধার করলেও ততক্ষণে নিষ্প্রাণ হয়ে যান তিনি। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে লাশের সুরতহাল তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্যে রাতেই সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। তবে কী কারণে প্রিয়াঙ্কা এভাবে আত্মহননের পথ বেঁচে নিলেন, তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এ ঘটনায় ওই রাতেই থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছেন তার ভাই সুজন দেবনাথ। তার কাছে বোনের আত্মহননের কারণ জানতে চাইলে আপাতত কোনো মন্তব্য করতে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি।
তবে স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, প্রিয়াঙ্কাদের পাশের ঘরেই লজিং থাকতেন স্থানীয় একাডেমির এক শিক্ষক। তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তার। যা ওই একাডেমির ছাত্র-শিক্ষকসহ অনেকেই জানেন। কিন্তু এই প্রেম সংক্রান্ত কারণেই কী প্রিয়াঙ্কা আত্মহত্যা করেছেন, সেটা নিশ্চিত করতে পারেনি সূত্রটি।
এ বিষয়ে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) গাজী আতাউর রহমান বলেন, ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে দেখছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ও আমাদের নিজস্ব তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।