নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেটের বিশ্বনাথে দোকানপাঠ ও বাসা-বাড়ির ময়লা-আবর্জনা ফেলার নির্দিস্ট কোন স্থান না থাকার কারণে এককালের খড়স্রোতা বাসিয়া নদীসহ পৌর শহরের বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় যত্রতত্র ফেলা ময়লা-আবর্জনা পঁচে দুষিত হচ্ছে পরিবেশ। আর পৌর শহরের বিভিন্ন স্থানে জমে থাকা ময়লা-আবর্জনার স্তুপ পরিষ্কার করানোর মাধ্যমে বিশ্বনাথকে একটি পরিচ্ছন্ন শহর হিসেবে গড়ে তুলতে মাঠে নেমেছেন নবাগত পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুমন চন্দ্র দাশ। পাশাপশি তিনি পৌর এলাকার বাইপাস রোস্থ ময়লা-আবর্জনা ফেলার নির্ধারিত স্থানও (ডাম্পিং) নির্ধাণ করেছেন।
রোববার (২৩ মে) দুপুরে উপজেলা পরিষদের প্রবশে পথ ও পৌর শহরের নতুন বাজারস্থ হাজী মফিজ আলী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের প্রধান ফটকের সামনে জমে প্রায় ১৫/২০ বছর ধরে জমে থাকা ময়লা-আবর্জনার স্তুপ পরিষ্কারের মাধ্যমে ময়লা-আবর্জনা অপসারণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন পৌর প্রশাসন ও ইউএনও সুমন চন্দ্র দাশ। তার নির্দেশে স্কেভেটর মিশিন দিয়ে ওই স্থান থেকে প্রায় ৪৫ ট্রাক ময়লা-আর্বজনা অপসারণ করে পৌর এলাকার বাইপাস রোডস্থ নির্ধারিত স্থানে ফেলা হয়।
বিশ্বনাথবাসী একটি নির্দিস্ট স্থান নির্ধারণ করে ময়লা-আবর্জনা ফেলার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহনের জন্য দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসলেও এব্যাপারে কার্যত কোন প্রদক্ষেপ গ্রহন করা হয়নি। অবশেষে পরিচ্ছন্ন ও পরিবেশবান্ধব শহর গড়তে নবাগত পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুমন চন্দ্র দাশ মহতি এই উদ্যোগ গ্রহন করায় আনন্দিত বিশ্বনাথবাসী।
ময়লা-আবর্জনা অপসারণের কার্যক্রমের উদ্বোধনের সময় পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুমন চন্দ্র দাশের সাথে উপস্থিত ছিলেন থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) গাজী আতাউর রহমান, উপজেলা প্রকৌশলী আবু সাঈদ, বিশ্বনাথ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছয়ফুল হক, মেম্বার জহুর আলী, শ্রমিক নেতা ফরিদ মিয়া, আছাব আলী, কাদির মিয়া প্রমূখ।
এব্যাপারে পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুমন চন্দ্র দাশ বলেন, ‘‘স্কুলের সামনে বিগত প্রায় বিশ বছর যাবৎ ময়লা-আবর্জনা ফেলা আসা হলেও এতে যেমন কেউ বাঁধাও দেননি, তেমনি আবার কেউ তা পরিস্কারও করেননি। এখন থেকে পৌর শহরের সব ময়লা-আবর্জনা অপসারণ করা হবে এবং নির্ধারিত স্থানে ময়লা ফেলা হবে। পবর্তীতে যারা যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলে পরিবেশ বিরোধী কাজে লিপ্ত হবেন তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে’’। বাসিয়া নদী বা বাজারের যেখানে সেখানে ময়লা আর্বজনা না ফেলার জন্য ব্যবসায়ীসহ পৌরবাসীর প্রতি আহবান জানান তিনি।