Search
Close this search box.

বিশ্বনাথে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেল স্কুল ছাত্রী

Ayas-ali-Advertise
Facebook
Twitter
WhatsApp

নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেটের বিশ্বনাথে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেল স্কুল ছাত্রী। বিশ্বনাথ পৌর এলাকার আল-মদীনা বিদ্যানিকেতনের ১০ম শ্রেণীতে পড়ুয়া ওই স্কুল ছাত্রীর সঙ্গে ওসমানীনগর এলাকার এক যুবকের বিয়ের আয়োজন চলছিল। শুক্রবার (৯ এপ্রিল) বিশ্বনাথ পৌর এলাকার দক্ষিণ মিরেরচরস্থ কনের বাড়িতে বিয়ের সকল আয়োজন সম্পন্ন করা হয়। বরযাত্রী ও আত্মীয়-স্বজনরাও আসতে শুরু করেন কনে বাড়িতে। শুধুমাত্র বর আসার অপেক্ষায় সবাই।

এমতাবস্থায় বাল্যবিয়ের খবর পেয়ে শুক্রবার দুপুরে কনের বাড়িতে উপস্থিত হন থানা পুলিশের সদস্যরা। তারা কনের পিতা চমক আলীকে বাল্যবিয়ের কুফল সম্পর্কে বুঝিয়ে এটি (বাল্যবিয়ে) আইন সঙ্গত নয় বলে জানান। কিন্ত এতে কোন কাজ হয়নি। মেয়ের এই বিয়ে ভঙ্গ করতে কিছুতেই রাজী হননি তার পিতা। এরপর বাল্যবিয়ের খবর পেয়ে বাদ জুম্মা বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত হন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট মো. কামরুজ্জামান। এসময় তিনি কনের বয়সের প্রমাণপত্র দেখতে চান পরিবারের কাছে। তখন কনের পরিবারের দেয়া তার জন্ম নিবন্ধন সনদ অনুযায়ী দেখা যায়, কনের বয়স হয়েছে মাত্র ১৬ বছর দু’মাস। এক পর্যায়ে এটিকে বাল্যবিয়ে আখ্যায়িত করে কনের পিতাকে মুচলেকা নিয়ে বিয়ে ভেঙ্গে দেন তিনি।

এদিকে, প্রশাসনের উপস্থিতির খবর পেয়ে বিয়ে করতে কনে বাড়িতে না এসে অর্ধেক রাস্তা থেকে নিজ বাড়িতে ফেরৎ চলে যান বর।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বিশ্বনাথ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট মো. কামরুজ্জামান বলেন, মেয়েটির বয়স এখনো ১৮ হয়নি। বিয়ে ভেঙ্গে দিয়ে, ১৮ না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে না দেয়ার শর্তে অভিভাবকের মুচলেকা নেয়া হয়েছে।

বিশ্বনাথনিউজ২৪ডটকম / বিএন২৪