৯ মাসেও শুরু হয়নি পাকাকরণ কাজ, কাঁচা রাস্তায় ভোগান্তি

Ayas-ali-Advertise
Facebook
Twitter
WhatsApp

আব্বাস হোসেন ইমরান :: কার্যাদেশ দেয়ার ৮ মাস পেরিয়ে ৯ মাস হতে চললেও সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার আরএসডি রামপাশা-রাজাগঞ্জ বাজার-উত্তর বিশ্বনাথ-লামাকাজী রাস্তার রাজাগঞ্জ বাজার হতে উত্তর বিশ্বনাথ দ্বি-পাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয় পর্যন্ত দুই কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা পাকাকরণের কাজ শুরুই হয়নি। প্যাকেজ বরাদ্দের এই পাকাকরণের কাজটি পেয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বিএম ট্রেডার্স। তারা সময়মত কাজ শুরু না করার ফলে এখনও এ রাস্তা দিয়ে চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন কয়েকটি গ্রামের লোকজনসহ এলাকাবাসী। রাস্তার বিভিন্ন অংশে ছোটবড় গর্ত থাকায় একটু বৃষ্টি হলেই তাতে পানি জমে ভোগান্তির সৃষ্টি করছে। শুধু তাই নয়, বছরের বেশির ভাগ সময়ই রাস্তাজুড়ে লেগে থাকে কাদা। যে কারণে রাস্তায় পায়ে হেটেই চলাচল দায় হয়ে পড়ে।

মঙ্গলবার দুপুরে সরেজমিন রাস্তার অবস্থা দেখতে গেলে কথা হয় রাস্তা দিয়ে নিয়মিত চলাচলকারী অনেকের সাথে। তারা জানান, ‘উত্তর বিশ্বনাথ দ্বি-পাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয়, তেলিকোনা আলিম মাদ্রাসা, বেবি কেয়ার স্কুল, রাজাগঞ্জ বাজার কিন্ডারগার্টেনসহ বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শতাধিক ছাত্রছাত্রীকে ওই রাস্তা দিয়ে আসা-যাওয়া করতে হয়। যদিও করোনাকালের জন্যে এখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রয়েছে।’ তারা আরও জানান, ‘বেশ কয়েকটি গ্রামের লোকজনের চলাচলের একমাত্র রাস্তাও এটি। রাস্তার এমনই দুরাবস্থা যে, গাড়ি চলাচল দূরে থাক, পায়ে হেটেই চলা মুশকিল হয়ে পড়ে।’ স্থানীয় কান্দিগ্রাম গ্রামের বাসিন্দা ও কান্দিগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শাহিন মিয়া বলেন, ‘রাস্তাটির বেহাল অবস্থার কারণে ছাত্রছাত্রীরা বিদ্যালয়ে আসতে অনেক সময় অনীহা প্রকাশ করে। করোনার জন্যে বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় তারা আপাতত দূর্ভোগ থেকে রক্ষা পেলেও এলাকাবাসী দূর্ভোগ পোহাচ্ছেন ঠিকই।’ সংগঠক রাজন আহমদ রেশাদ বলেন, ‘অসুস্থ মানুষকে এ রাস্তা দিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হিমশীম খেতে হয়।’

উপজেলা প্রকৌশল অফিস সূত্র জানায়, গত বছরের ৪ ডিসেম্বর ওই দুই কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা পাকাকরণের কার্যাদেশ পায় বিএম ট্রেডার্স। কাজটি শেষ হওয়ার কথা চলতি বছরের ৩ ডিসেম্বর। খাজাঞ্চী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তালুকদার মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘কাজটি শুরু করার জন্যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সত্ত্বাধিকারীকে আমি অনেকবার ফোন দিয়ে কথা বলেছি।’

বিএম ট্রেডার্সের সত্ত্বাধিকারী আমিরুল ইসলাম বাবলু মুঠোফোনে এ প্রতিবেদককে জানান, ‘কার্যাদেশ পাবার পরে করোনা ও বন্যা পরিস্থিতির কারণে সময়মত কাজ শুরু করতে পারিনি। আগামি মাসের (সেপ্টেম্বর) শেষের দিকে আমরা রাস্তার কাজ শুরু করব।’

উপজেলা প্রকৌশলী আবু সাঈদ বলেন, ‘বিএম ট্রেডার্স কর্তৃপক্ষের সাথে আমার কথা হয়ে হয়েছে। তারা জানিয়েছে, এ সপ্তাহে এসে কাজ শুরু করবে।’

বিশ্বনাথনিউজ২৪ডটকম / বিএন২৪