নিজস্ব প্রতিবেদক :: চুরি করার উদ্দেশ্যে ভাড়ায় নিয়ে গাড়ি (পিকআপ ভ্যান) লুকিয়ে রেখে ছিনতাইর নাটক ও মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টায় চালকসহ তিন জনকে আটক করেছে বিশ্বনাথ থানা পুলিশ।
আটককৃতরা হলো- বিশ্বনাথ উপজেলার সোনাপুর গ্রামের মৃত ইউনুস আলীর ছেলে আশিক মিয়া (৪৫), তার ছেলে গাড়ি চালক দেলোয়ার হোসেন (২৩) ও সিলেট নগরীর সুবিদবাজার (নূরারী ১১/১২) এলাকার বাসিন্দা মৃত শামসুল ইসলামের ছেলে তাজুল ইসলাম (৪৫)। বুধবার (২৬ আগস্ট) ভোররাতে উপজেলার লামাকাজী ও সিলেট শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ জানায়, বিশ্বনাথ উপজেলার ধলিপাড়া গ্রামের মৃত আনোয়ারুল হকের ছেলে রাসেল মিয়ার মালিকানাধিন পিকআপ ভ্যান (রেজি নং-ঢাকা মেট্টো-১৮ ৬৩৬৯) ভাড়ায় চালিয়ে আসছিল সোনাপুর গ্রামের আশিক মিয়ার ছেলে দেলোয়ার হোসেন। প্রায় ৫ বছর ধরে সে রাসেল মিয়ার বিভিন্ন পিকআপ ভ্যান ভাড়ায় চালিয়ে আসছিল। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল থেকে মালামাল বহন করতে ভাড়ায় চালিক রাসেলের গাড়ী নিয়ে বের হয় দেলোয়ার। ওই রাতে হঠাৎ মুটোফোনের মাধ্যমে রাসেলকে ফোন করে দেলোয়ার জানায় গাড়ীসহ কারা যেন তাকে আটকে রেখেছে।
এরপর থেকে গাড়ী ও তার কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। এ ঘটনায় পরদিন ১৬ ফেব্রুয়ারি বিশ্বনাথ থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন রাসেল মিয়া। ডায়েরী নং- ৮৪৮। এরি মধ্যে গাড়ী ও চালককে উদ্ধারের নামে রাসেলের কাছে ৩ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবী করা হয় এবং মুক্তিপণের ৫০ হাজার টাকাও দেন রাসেল।
মুক্তিপণ আদায়ের সূত্র ধরে তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে ঘটনার মূল রহস্য। একপর্যায়ে বুধবার (২৬ আগস্ট) ভোর রাতে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জের পুরানবাজার থেকে চালকবিহীন অবস্থায় ওই পিকআপ ভ্যানটি উদ্ধার করে পুলিশ। পরে অভিযান চালিয়ে গাড়ীচালক দেলোয়ার এবং তার সহযোগী তাজুল ইসলাম ও আশিক মিয়াকে আটক করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত বিশ্বনাথ থানার উপ-পরিদর্শক দেবাশীষ শর্মা বলেন, গ্রেফতারকৃতরা প্রতারক চক্রের সদস্য। তারা অত্যান্ত কৌশলে ভাড়ায় চালিত গাড়ী লুকিয়ে রেখে বিক্রির চেষ্টা করছিল। বুধবার দুপুরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।