নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার প্রবাসী মোছাদ্দুর রহমানকে ওমানে আটকে রেখে বাংলাদেশে মুক্তিপন আদায়ের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় রাকিব হোসেন (১৭) নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সে নোয়াখালী জেলার সদর থানার ধর্মপুর (ভাটিরটেক) গ্রামের আতিক হোসেনের পুত্র। শনিবার বিকেলে চট্রগ্রাম দক্ষিণ খুলশি ১নং রোডের ৩নং লেইনস্থ ‘ডুবাইওয়া বিলিং’ নামের একটি ৩য় তলা বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
জানা গেছে, বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়নের মির্জারগাঁও গ্রামের মৃত তালেব আলীর পুত্র মোছাদ্দুর রহমান (৩২) দীর্ঘ প্রায় ১০বছর ধরে ওমানে বসবাস করে আসছেন। গত ৩০ জুলাই দেশে থাকা স্বজনদের সাথে শেষবারের মতো মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কথা হয় মোছাদ্দুর রহমানের। এরপর থেকে তার কোন খোঁজ-খবর পাচ্ছেন না তার পরিবারের সদস্যরা। এমতাবস্থায় গত ১১ আগস্ট রাতে ওমান থেকে একজন অজ্ঞাতানা লোক ফোন করে মোছাদ্দুর রহমানের ছোটভাইয়ের স্ত্রী সাজিদা আক্তারের মোবাইল নাম্বারে কল দিয়ে জানায়, মোছাদ্দুর রহমান ওমানে আটক আছেন। তাই তাকে মুক্ত করতে হলে ৫ লাখ টাকার দিতে হবে। একপর্যায়ে অজ্ঞাতনামা ওই ব্যক্তির কথামতো প্রথমে ৫০ হাজার এবং মুক্তির পর আরও দুই লাখ টাকা দিতে সম্মত হন মোছাদ্দুর রহমানের পরিবার। এরপর চুক্তি অনুযায়ী ১২ আগস্ট দুটি বিকাশ নাম্বারে ৪৩ হাজার ২শত টাকা প্রদান করেন মোছাদ্দুর রহমানের পরিবার। কিন্ত টাকা প্রেরণের পর থেকে অজ্ঞাতনামা ওই লোকের সাথে আর যোগাযোগ করতে না পারায় ১৩ আগস্ট নিখোঁজের চাচাতো ভাই ফয়জুর রহমান বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা অভিযুক্ত করে বিশ্বনাথ থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- ১১। মামলা দায়েরের পর বিকাশ নাম্বারের সূত্র ধরে ১৫ আগস্ট বিকেলে চট্রগ্রাম জেলার খুলশি এলাকায় অভিযান চালিয়ে রাকিব হোসেন’কে গ্রেফতার করে বিশ্বনাথ থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত রাকিব রবিবার দুপুরে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেছে বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বিশ্বনাথ থানার এসআই গাজী মোয়াজ্জেম হোসেন।
এদিকে, নিখোঁজ মোছাদ্দুর রহমানের সন্ধান এখনও পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন তার চাচাতো ভাই ফয়জুর রহমান।