বিশ্বনাথে প্রেমের ফাঁদে ফেলে কিশোরীকে গণধর্ষণ : মামলা দায়ের

Ayas-ali-Advertise
Facebook
Twitter
WhatsApp

নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেটের বিশ্বনাথে ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে গণধর্ষনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঈদুল ফিতরের দিন (২৫মে) রাতে উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়নের মাহতাবপুর এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। এব্যাপারে ভিকটিম কিশোরীর পিতা বাদি হয়ে ৩জনের নাম উল্লেখ ও আরো ২/৩জনকে অজ্ঞাতনামা অভিযুক্ত করে আজ সোমবার (১ জুন) বিশ্বনাথ থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং-১।

মামলার অভিযুক্তরা হলো- লামাকাজী ইউনিয়নের বশিরপুর গ্রামের আশিক মিয়ার ছেলে মিজান (২০), একই গ্রামের বারিক মিয়ার ছেলে ইমন আহমদ জসিম (২১) ও আব্দুল মিয়ার ছেলে আফিজ (২০)।

থানায় দায়েরকৃত লিখিত অভিযোগে বাদি (ভিকটিম কিশোরীর পিতা) উল্লেখ করেন, কিছুদিন পূর্বে ভিকটিম কিশোরীর সাথে অভিযুক্ত মিজানের পরিচয় হয়। সেই সুবাদে মিজানের সাথে মোবাইল ফোনে প্রায়ই কথা হতো তার (কিশোরীর)। ঈদুল ফিতর ফিতর উপলক্ষে ঈদের দিন (২৫ মে) দিবাগত রাত ১২টায় কিশোরীকে ফোন করে দেখা করতে বলে মিজান। তখন সে (কিশোরী) ঘর থেকে বের হলে মিজান ও তার সহযোগী জসিম-আফিজ’সহ আরো ২/৩জন যুবক তাকে ঝাপটে মুখ চেপে ধরে। এরপর তারা মেয়েটিকে বাড়ির পার্শ্ববর্তি নির্জন স্থানে (সরকারি পুকুরের পাড়ে) নিয়ে যায় এবং জোরপূর্বক নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে তাকে সজ্ঞাহীন করে সারা রাত পালাক্রমে পাশবিক নির্যাতন করা হয়। ভোরে ঘটনাস্থলের পাশ্ববর্তি বাড়ির বাসিন্দা করুনা চন্দ্র মেয়েটিকে উলঙ্গ, রক্তাক্ত ও সজ্ঞাহীন অবস্থায় দেখতে পেয়ে তাকে ডেকে তুলে পরিচয় জানতে পারেন। এসময় তিনি তার ঘর তেকে কাপড় এনে মেয়েটির শরীর ঢেকে তার নিজ বাড়িতে পৌছে দেন। বাড়িতে ফেরার পর মেয়েটির কাছ থেকে বিষয়টি পরিবারের লোকজন জানার পর তারা তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করেন। এরপর ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

এদিকে, থানায় অভিযোগ দায়েরের পর থেকে স্থানীয় মাতব্বরেরা বিষয়টি ধামাচাপা দিতে ভিকটিমের পরিবারকে চাপ প্রয়োগ করছেন বলেও অভিযোগ করেন বাদী।

মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) শামীম মুসা বলেন, মামলাটি তদন্ত করবে ডিবি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

বিশ্বনাথনিউজ২৪ডটকম / বিএন২৪