AM-ACCOUNTANCY-SERVICES-BBB

বিশ্বনাথের সবচেয়ে খর্বকায় তরুণী ফাতেমা হোসেন

বিশ্বনাথ নিউজ ২৪ ডট কম :: নভেম্বর - ২৬ - ২০১৯ | ৯: ৫৬ পূর্বাহ্ণ

এমদাদুর রহমান মিলাদ ও আব্বাস হোসেন ইমরান :: বিশ্বনাথ উপজেলার সবচেয়ে খর্বকায় (খাটো) তরুণী ফাতেমা হোসেন। ১৭ বছর বয়সেও যার উচ্চতা মাত্র ৩৮ইঞ্চি ও ওজন ১১ কেজি ৮০০ গ্রাম। ফাতেমা উপজেলার দেওকলস ইউনিয়নের আলাপুর গ্রামের মৃত হোসেন আলী ও সাহেনা বেগম দম্পতির জ্যেষ্ঠ কন্যা এবং স্থানীয় জনকল্যাণ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ২০০২ সালের ৮ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন ফাতেমা হোসেন। জন্মের পর থেকে চার বছর বয়স পর্যন্ত তার শরীরের গড়ন স্বাভাবিক বৃদ্ধি পাচ্ছিল। চার বছর পর হঠাৎ করে তার স্বাভাবিক বৃদ্ধি কমতে থাকে। তখন তাকে নিয়ে সিলেট শহরে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন তার পরিবারের লোকজন। চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। সেই পরামর্শের ভিত্তিতে ফাতেমাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে দীর্ঘদিন চিকিৎসা প্রদান করা হয়। তখন পরীক্ষা নিরীক্ষা করে চিকিৎসক জানান ফাতেমার শরীরে বর্ন হরমোন না থাকায় তার স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হচ্ছে। তাই তার ৮বছর বয়সের মধ্যে ভারত থেকে বর্ন হরমোন এনে প্রতি মাসে একবার করে টানা ৪বছর শরীরে প্রয়োগ করতে হবে। তাতে ফাতেমার শরীর স্বাভাবিক বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে বর্ন হরমোন প্রয়োগের ফলে স্বাভাবিক বৃদ্ধি কমে যাওয়ার আশঙ্কার কথাও জানান চিকিৎসক। এনিয়ে এবং চিকিৎসা ব্যয়বহুল হওয়ায় দ্বিধাদ্বন্ধে পড়েন পরিবারের লোকজন। তখন আর ফাতেমার শরীরে হরমোন প্রয়োগ করা হয়ে ওঠেনি তাদের। তার বেড়ে ওঠার আর কোনো আশা নেই। তবে তা নিয়ে কোনো রাগ-দুঃখ-অভিমান নেই ১৭বছর বয়সী এই তরুণীর।
খোঁজ নিয়ে উপজেলার ফাতেমা হোসেনের বয়সী ৩৮ইঞ্চি উচ্চতা ও ১১ কেজি ৮০০ গ্রাম ওজনের আর কোন তরুণীর সন্ধান না পাওয়ায় ধারণা করা হচ্ছে বিশ্বনাথ উপজেলায় সবচেয়ে খর্বকায় (খাটো) তরুণীই ফাতেমা হোসেন।
ফাতেমা হোসেন জানান, স্থানীয় জনকল্যাণ উচ্চ বিদ্যালয়ে ৯ম শ্রেণীতে তিনি অধ্যয়নরত। ২০১৭ সালে তার পিতা হোসেন আলী আরব আমিরাতে হঠাৎ করে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেন। এরপর থেকে মা সাহেনা বেগম, ছোট ভাই হাফেজ জাহির হোসেন (১৩) ও ছোট বোন ফাবিহা হোসেন মাইসা (২)’কে নিয়ে নিজ গ্রামেই অবস্থিত মামার বাড়িতে বসবাস করে আসছেন। তাকে সকলেই আদর করেন। তিনি জীবনটাকে হাসিখুশিভাবে কাটাতেই ভালোবাসেন। পড়ালেখা করে অবিষ্যতে বড় চাকুরীজিবী হওয়ার স্বপ্ন রয়েছে মেধাবী ছাত্রী ফাতেমার।

আরো সংবাদ