AM-ACCOUNTANCY-SERVICES-BBB

প্রথম ব্রিটিশ বাংলাদেশী হিসেবে গ্লোবাল প্রাইভেসি এওয়ার্ড পেলেন বিশ্বনাথের জামাল আহমেদ

বিশ্বনাথ নিউজ ২৪ ডট কম :: অক্টোবর - ২৮ - ২০১৯ | ৩: ২৭ অপরাহ্ণ

জাকির হোসেন কয়েছ :: গ্লোবাল প্রাইভেসি এওয়ার্ড লাভ করেছেন বিশ্বনাথের কৃতি সন্তান জিডিপিআর কনসালটেন্ট জামাল আহমদ। ব্রিটেনসহ ইউরোপে ২০১৮ সালের ২৫ মে থেকে পরির্বতন হয়েছে জেনারেল ডাটা প্রটেকশন রেজুলেশন সংক্ষেপে (ডিডিপিআর) এর আইন। নতুন এই আইনের ফলে বড় বড় কোম্পানী, ব্যাংক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, চ্যারিটি সংস্থা, ট্রাভেল এজেন্ট, কার্গো কিংবা যেকোন ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে তাদের গ্রাহকদের তথ্য সু-সংরক্ষিত রাখতে হবে। এর অপব্যবহার হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ২০ মিলিয়ন ইউরো কিংবা বার্ষিক আয়ের ৪ পার্সেন্ট জরিমানা হতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ এই সেক্টরে প্রথম ব্রিটিশ বাংলাদেশী হিসেবে এই এওয়ার্ড লাভ করেছেন জামাল আহমদ। সম্প্রতি ইন্টারন্যাশনাল এসোসিয়েশন অফ প্রাইভেসি প্রফেশনাল (আইএপিপি) এই এওয়ার্ড প্রদান করে। ফলে তিনি ডাটা প্রটেকশন সেক্টরে পৃথিবীর শীর্ষ স্থানীয় কর্মকর্তার পর্যায়ে উন্নিত হলেন। জামাল আহমদের বাড়ি সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের সিঙ্গেরকাছ গ্রামে।

বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির যোগে কারো ব্যক্তিগত ডাকা সংরক্ষন খুবই গুরুত্বপুর্ণ। একইভাবে কোন প্রতিষ্ঠানকে ব্যক্তিগত ডাটা প্রদানের পূর্বে এই প্রতিষ্ঠান আইসিও রেজিস্ট্রার্ড কিনা তাও ক্ষতিয়ে দেখতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ নতুন এই সেক্টরে কাজ করছেন খুবই অল্প সংখ্যক বাংলাদেশী। তারপরও প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে গ্লোবাল প্রাইভেসি এওয়ার্ড লাভ করেছেন জিডিপিআর কনসালটেন্ট জামাল আহমদ।

ফেলো অফ ইনফরমেশন প্রাইভেসি সংক্ষেপে (এফআইপি) এর শীর্ষস্থানীয় এই কর্মকর্তা ২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠা করেন কাজিয়েন্ট প্রাইভেসি এক্সপার্ট নামক প্রতিষ্ঠানের। এই সেক্টরে ধারাবাহিক সফলতা লাভ করা করায় তাকে সম্প্রতি ইন্টারন্যাশনাল এসোসিয়েশন অফ প্রাইভেসি প্রফেশনাল (আইএপিপি) এই এওয়ার্ড প্রদান করে। ফলে তিনি ডাটা প্রটেকশন সেক্টরে পৃথিবীর শীর্ষ স্থানীয় কর্মকর্তার পর্যায়ে উন্নিত হলেন। আইএপিপি হচ্ছে ডাটা প্রটেকশন সেক্টরে ব্রিটেনের শীর্ষ স্থানীয় গ্রুপ। যারা বিশ্বব্যাপী ফেলো অফ ইনফরমেশন প্রাইভেসি সেক্টরে কাজ করে তাকে।

জামাল আহমদ তার প্রতিষ্ঠিত কাজিয়েন্ট প্রাইভেসি এক্সপার্ট প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে একাদিক মেইনস্ট্রিম ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও চ্যারিটি সংস্থার ডাটা প্রটেকশন ও প্রাইভেসি সম্পর্কে ট্রেনিং দিয়ে থাকেন। এর মধ্যে উল্লেখ্য যোগ্য হচ্ছে সানটানডার, লয়েটস ব্যাংকিং গ্রুপ, কিউএনভিসহ, চ্যারিট সংস্থা ওয়ান নেশন। সাম্প্রতিক সময়ে নাইজাল ফারাজের ব্রেক্সিট পার্টির ডাটা প্রটেকশনের ৩০ হাজার পাউন্ডের কাজ ফিরিয়ে দিয়ে মেইনস্ট্রিম মিডিয়ায় আলোচনায় আসেন ।

এদিকে বাংলাদেশী কমিউনিটির ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ ও ইসলামিক সেন্টারগুলোর ট্রাস্টি, সদস্য, স্টাফ, ভলান্টিয়ার, মাদ্রাসা ছাত্রছাত্রী ও দাতাদের সম্পর্কে তথ্য আদান প্রদানের ক্ষেত্রে ডাটা প্রটেকশন আইনের যাবতীয় নীতিমালা অনুসরণ করার প্রতি গুরুত্ব দিচ্ছেন অভিজ্ঞতারা।

আরো সংবাদ