Search
Close this search box.

বিশ্বনাথের গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী জাহাঙ্গীর গ্রেফতার : ৫দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

Facebook
Twitter
WhatsApp

নিজস্ব প্রতিবেদক :: বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হয়ে যুবতী আত্মহত্যার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার প্রধান আসামী জাহাঙ্গীর আলম (৩৫)’কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-৯। সে দক্ষিণ সুরমা উপজেলার তেতলী চেরাগী গ্রামের আজিজুর রহমানের ছেলে। বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) দিবাগত রাতে ওসমানীনগর উপজেলা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার দুপুরে জাহাঙ্গীর আলমকে আদালতে প্রেরণ করে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। আবেনের প্রেক্ষিতে আদালত ৫দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
র‌্যাব-৯ সিলেটের (মিডিয়া অফিসার) ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মনিরুজ্জামান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-৯, সিপিসি-১, সিলেট ক্যাম্প এর একটি আভিযানিক দল এএসপি সত্যজিৎ কুমার ঘোষ এর নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টায় অভিযান চালিয়ে ওসামনীনগর থানার লামাপাড়া এলাকা থেকে জাহাঙ্গীরকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর তাকে বিশ্বনাথ থানায় হস্তাস্তর করা হয়।
এর আগে গত সোমবার রাতে নিহতের ভগ্নিপতি ও তেতলী চেরাগী গ্রামের মৃত আব্দুল মন্নানের পুত্র ফয়জুল ইসলাকে বিশ্বনাথ থানা পুলিশ এবং গত মঙ্গলবার রাতে মামলার অপর আসামী একই গ্রামের মৃত মতছির আলীর ছেলে জাহেদ (২২)’কে গ্রেফতার করে র‌্যাব। তবে মামলার অপর আসামী তেতলী চেরাগী গ্রামের আব্দুল মনাফের ছেলে বারিক মিয়া (৩৭) এখনো পলাতক রয়েছে।
বিশ্বনাথ উপজেলার অলংকারী ইউনিয়নের লালটেক গ্রামের শুকুর আলীর মেয়ে পপি বেগম (১৯) গত ৯ অক্টোবর দিবাগত রাতে তার বোনের বাড়ি তেতলী চেরাগী গ্রামে গণধর্ষণের শিকার হয়। পরদিন সকালে সে বোনের বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে ফিরে গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করে। তাকে দাফনের ২দিন পর তার ব্যবহৃত ভ্যানেটি ব্যাগে নিজ হাতে লেখা একটি চিরকুট (সুইসাইড নোট) পায় পরিবার। ওই চিরকুটে পপি উল্লেখ করে ৯অক্টোবর দিবাগত রাতে বোনের বাড়িতে অবস্থানকালে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়ে সে ঘরের বাহিরে যায়। তখন পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা বারিক ও জাহেদ তার (পপির) মুখ চেপে ধরে তাকে জোরপূর্বক উঠিয়ে নিয়ে যায় বাড়ির পাশ্ববর্তী জঙ্গলে। তখন তাদের পায়ে ধরে কান্না কাটি করতে থাকলে বারিক-জাহেদ ও তাদের সহযোগীরা মারধর করে পপিকে পাশবিক নির্যাতন করে। নির্যাতনের পর পপিকে বোনের বাড়িতে (যেখান থেকে উঠিয়ে নেওয়া হয়, সেই স্থানে) ফেলে রেখে যায় জাহাঙ্গীর। আর গণধর্ষণের লজ্জা সইতে না পেরে সে আত্মহত্যা করে। এঘটনায় ৪জনকে আসামী করে গত সোমবার রাতে বিশ্বনাথ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন নিহতের পিতা শুকুর আলী।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও বিশ্বনাথ থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) রমা প্রসাদ বিশ্বনাথ নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম-কে বলেন, গ্রেপ্তারকৃত আসামী জাহাঙ্গীরকে শুক্রবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করে তাকে ৭ দিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করা হয়। তবে আদালত পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। মামলার অপর আসামীকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

বিশ্বনাথনিউজ২৪ডটকম / বিএন২৪

আরও খবর

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত