AM-ACCOUNTANCY-SERVICES-BBB

বাসিয়া নদী রক্ষায় ১৫ দপ্তরে বেলার নোটিশ

বিশ্বনাথ নিউজ ২৪ ডট কম :: আগস্ট - ২৮ - ২০১৯ | ১২: ৪০ অপরাহ্ণ

বিশ্বনাথনিউজ২৪ :: সিলেটের বিশ্বনাথে ‘বাসিয়া’ দখল ও দূষণমুক্ত করতে রক্ষায় কার্যকরী প্রতিকার চেয়ে সরকারের ১৫ দপ্তরকে ‘নোটিশ অব ডিমান্ড ফর জাষ্টিস’- শিরোনামে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)। মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) বেলার পক্ষে অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ কবীর এ নোটিশটি পাঠান।
নোটিশে বাসিয়া নদী রক্ষায় ২০১৭ সালের ১৯ জুলাইর নদী রক্ষা কমিশনের প্রতিবেদনে প্রদত্ত পরামর্শ বাস্তবায়নে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী নদী দখল ও দূষণমুক্ত রাখতে সংশ্লিষ্ট দপ্তর চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এজন্য নোটিশ প্রেরণের ৭ (সাত) দিনের মধ্যে তাদের গৃহিত পদক্ষেপের বিষয়গুলো অবহিত করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। অন্যথায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।
ভূমি সচিব, পরিবেশ ও বন সচিব, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় সচিব, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় সচিব, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন চেয়ারম্যান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, পানি উন্নয়ন বোর্ড মহাপরিচালক, বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান, সিলেটের জেলা প্রশাসক, সিলেটের পুলিশ সুপার, পরিবেশ অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় পরিচালক, বিশ্বনাথের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, বিশ্বনাথের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকে এ নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
বেলার নোটিশে উল্লেখ করা হয়, ৫৬ কিলোমিটার দীর্ঘ বাসিয়া নদীটি সিলেট সদর উপজেলার কান্দিগাঁও ইউনিয়নে সুরমা নদী হতে উৎপন্ন হয়ে সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার জগন্নাথপুর পৌরসভায় নলজুর নদীতে পতিত হয়েছে। এই নদীটি তার গতিপথে বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন নামে পরিচিত। নদীটি উজানে সুরমা নদীর শাখা নদী হিসেবে “ভাবনা” নামে লালাবাজার হয়ে বিশ্বনাথ থানায় এসে ‘বাসিয়া’ নামে জগন্নাথপুর উপজেলায় পাইলাগাঁও ইউনিয়নে এসে ‘বাহিয়াগাঁং’ নামে রাণীগঞ্জ ইউনিয়ন হয়ে জগন্নাথপুর পৌরসভায় নলজুর নদীতে পতিত হয়েছে।
আশির দশকে নৌযান চলাচলের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে বিশেষ ভূমিকা পালন করে আসছিল বাসিয়া। এ নদীর পানি ব্যবহার করে কৃষিকাজ সম্পন্ন করা হয়ে থাকে। দেশের অন্যান্য নদীর মতো এ নদীর অবস্থাও সংকটাপন্ন। জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের গত ১৯ জুলাই, ২০১৭ তারিখের প্রতিবেদন অনুযায়ী বর্তমানে এ নদীতে ১৮৭টি দখলদার রয়েছে। নির্বিচারে দখলের কারণে নদীটি ক্রমশই সংকুচিত হচ্ছে। ফলশ্রুতিতে বর্ষা মৌসুমে নৌকা চলাচল করলেও শুষ্ক মৌসুমে নদীটি শুকিয়ে যায়।
বেলা সিলেট বিভাগীয় কো-অর্ডিনেটর অ্যাডভোকেট শাহ্ শাহেদা আক্তার এ লিগ্যাল নোটিশ পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আরো সংবাদ