বিশ্বনাথনিউজ২৪ :: প্রথমবার বিশ্বকাপ শিরোপা ঘরে তুলল ইংল্যান্ড। ‘ক্রিকেট’ যাদের হাত ধরে আজ বৈশ্বিক বিনোদনের অন্যতম একটি মাধ্যম, যে দেশে ক্রিকেটের জন্ম, সেদেশেই ক্রিকেট ব্যর্থ ছিলো! ব্যর্থ নয়তো কি? ক্রিকেটের দেড়শ বছরের ইতিহাস ব্রিটিশদের; কিন্তু খেলা জন্ম দিলেতো আর পিতৃত্ব অর্জন করা যায় না। যদি না ভালো খেলে একটি শিরোপাও ঘরে না তোলা যায়। দীর্ঘ প্রতীক্ষার ক্ষণ ফুরিয়ে অবশেষে সেই স্বপ্ন শিরোপাও ছুঁলো ইংলিশরা। আর তাতে সর্থকও হলো তাদের রোপিত ‘ক্রিকেট’, যা আজ ডানা ছড়িয়ে বৈশ্বিকে রূপান্তরিত হয়েছে।
বিশ্বকাপে এমন একটি রোমাঞ্চকর ফাইনাল কে-না আশা করে। লর্ডসের ২৮ হাজার দর্শক আর বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের কাছে এবারের ফাইনাল ম্যাচটি ছিল ভিন্ন মাত্রার। কারণ, দীর্ঘ ২৩ বছর পর নতুন কোনো চ্যাম্পিয়ন দেখার অপেক্ষায় ছিলো তারা। কি টান টান উত্তেজনা। পুরো বিশ্বকাপের সকল রোমাঞ্চ যেন এই ম্যাচকে ঘিরে।
ক্রিকেটের ইতিহাসে এমন রোমাঞ্চকর ম্যাচ হয়েছে কি না, তা বোদ্ধারাই বলতে পারবেন। তবে লর্ডস যে নিঃসন্দেহে একটা ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে থাকল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সেই ঐতিহাসিক ম্যাচে শেষ হাসি হাসল ইংল্যান্ড। সেই সুবাদে প্রথমবারের মতো আইসিসি বিশ্বকাপ ঘরে তুলতে সক্ষম হলো ক্রিকেটের উদ্ভাবক এই জাতি।
লর্ডসে রবিবার টস জিতে শুরুতে ব্যাট করে নিউজিল্যান্ড নির্ধারিত ওভারে ৮ উইকেটে ২৪১ রান করে। জবাবে ৫০ ওভারে সবক’টি উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ডও করে সমান রান।
তাই নিয়ম অনুযায়ী ম্যাচটি করে গড়ায় সুপার ওভারে। সুপার ওভারেও দুই দল সমান ১৫ রান করে সংগ্রহ করে। তাই সুপার ওভারের খেলাও টাই হয়। তবে বাউন্ডারি বেশি থাকায় ইংল্যান্ড জিতে নেয় শিরোপা।