মোকাব্বির খানকে দেখে ড. কামাল যা বললেন…..
বিশ্বনাথ নিউজ ২৪ ডট কম :: এপ্রিল - ৫ - ২০১৯ | ১০: ৪৮ পূর্বাহ্ণ
বিষয়টি নিয়ে বিশ্বনাথ নিউজ টুয়েন্টিফোর থেকে মোকাব্বির খানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ ধরনের কিছু হয়নি। মোকাব্বির খান বলেন, কামাল হোসেনের সঙ্গে তাঁর ৩৫ বছরের সম্পর্ক। এই সম্পর্ক শুধু রাজনৈতিক নয়, ব্যক্তিগত ও পারিবারিক । ধমকের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
বৃহস্পতিবার বেলা তিনটার পর মোকাব্বির খান মতিঝিলে কামাল হোসেনের চেম্বারে যান। এসময় ড. কামাল হোসেনের চেম্বারে ছিলেন গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার কেন্দ্রীয় নেতা নুরুল হুদা মিলু চৌধুরী ও ঐক্যবদ্ধ ছাত্র সমাজের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ উল্লাহ মধু।
নিলু চৌধুরী সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘মোকাব্বির সাব কামাল স্যারের রুমের দরজা খুলে স্যারকে সালাম দেন। তখন স্যার বলেন, আপনি কার অনুমতি নিয়ে পত্রিকায় স্টেটমেন্ট দিয়েছেন যে গণফোরাম থেকে আপনাকে শপথ নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে? গণফোরাম সভাপতি আপনাকে অনুমতি দিয়েছে?’
মধু বলেন, ‘এ সময় মোকাব্বির খান চুপ করেছিলেন। স্যার রাগ হয়ে বলেছেন, আমি দ্বিতীয়বার আপনার চেহারা দেখতে চাই না। গেট আউট, গেট আউট। আপনার জন্য আমার দরজা চিরতরে বন্ধ। আমার বাসা চেম্বার কোথাও আসবেন না।’
এদিকে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসীন মন্টু স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মোকাব্বির খানের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। তাঁর শপথের বিষয়ে কেন্দ্রীয় নেতারা অবগত ছিলেন না। তিনি ব্যক্তিগত ইচ্ছায় শপথ নিয়েছেন। মোকাব্বির খান মিডিয়াতে গণফোরাম সভাপতি, সংগঠন বিষয়ে অসত্য ও বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য প্রদান করেছেন। যা অসত্য, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। ২ এপ্রিল মঙ্গলবার দুপুরে মোকাব্বির খান শপথ নেন। তিনি এবার জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অধীনে নিজ দলের উদীয়মান সূর্য প্রতীকে সিলেট-২ আসন থেকে নির্বাচন করেন।
এবারের নির্বাচনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আটটি আসনে জয়লাভ করে। তার মধ্যে বিএনপি ছয়টি ও গণফোরাম দু’টি আসন পায়। গণফোরামের আরেক সদস্য সুলতান মোহাম্মদ মনসুর মৌলভীবাজার-২ আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীকে লড়ে নির্বাচিত হন। গত ৭ মার্চ তিনি শপথ নেন। দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে শপথ নেওয়ায় তাঁকে গণফোরাম থেকে বহিষ্কার করা হয়। ৭ মার্চ মোকাব্বির খানেরও শপথ নেওয়ার কথা ছিল। তবে তার আগের দিন তিনি সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন। তবে পরে তিনি শপথ নেন।