নিজস্ব প্রতিবেদক :: বিশ্বনাথ থেকে নিখোঁজ হওয়া কলেজ ছাত্র আল-আমিন হোসেন (১৮) কে মৌলভীবাজারে উদ্ধার করা হয়েছে। অপহরণ কারীদের হাত থেকে পালিয়ে গিয়ে প্রাণ বাঁচালো কলেজ সে। সে গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় নিখোঁজ হয় এবং আজ সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টায় উদ্ধার হয়। আল আমিন বিশ্বনাথ উপজেলার অলংকারী ইউনিয়নের আলমনগর গ্রামের আবুল হোসেনের পুত্র ও সিলেটের দক্ষিণসুরমা এলাকার স্টারলাইট কলেজের ছাত্র।
জানা গেছে, গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় মাগরিবের নামাজ পড়তে মসজিদের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয় আল-আমিন হোসেন। ঐদিন রাতে সে বাড়িতে ফিরে না আসলে তার স্বজনেরা সম্ভাব্য বিভিন্ন জায়গায় অনেক খুঁজাখুঁজি করেন। নিখোঁজের পর থেকে আল আমিনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের নাম্বারটিও বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর সোমবার সকালে বিশ্বনাথ থানায় একটি সাধারন ডায়েরী (৭৬০) করেন আল আমিনের পিতা। সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টায় আল আমিনকে মৌলভীবাজার মডেল থানা পুলিশ উদ্ধার করে। এরপর সেখান থেকে রাতে তাকে বাড়িতে নিয়ে আসেন পরিবারের সদস্যরা।
এব্যাপারে আল আমিন বলেন, রবিবার সন্ধ্যায় গ্রামের মসজিদে মাগরিবের নামাজ পড়ে আমি লালাবাজার এলাকার লালগাঁও গ্রামে এক মিনি ফুটবল খেলা দেখতে যাওয়ার পথে ২/৩ জন লোক আমাকে জোরপূর্ব একটি অটোরিক্সায় তুলে আমার শরীরে ইঞ্জেকশন পোশ করলে আমি অজ্ঞান হয়ে যাই। যখন আমার জ্ঞান ফিরে তখন বুঝতে পারি আমাকে অপহরণ করে একটি কক্ষে রাখা হয়েছে। এরপর আমি আবারো সজ্ঞা হারিয়ে ফেলি। আজকে (সোমবার) একটি মাইক্রোবাসে করে আমাকে অপহরণকারীরা নিয়ে যাচ্ছিল। তখন হঠাৎ আমার জ্ঞান ফিরলে আমি বুঝতে পারি কোন একটি বাজারে পার্শ্ব দিয়ে আমাকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তখন আমি তাদেরকে প্র¯্রাব করার কথা বললে তারা আমাকে নিয়ে গাড়ি থেকে নামে। আর এই সুযোগে আমি দৌড়াতে থাকে। একপর্যায়ে দুই পুলিশের সামনে গিয়ে আমি পড়ে যাই। পরে বুঝতে পারি আমি মৌলভীবাজার মডেল থানায় আছি।
এব্যাপারে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ আব্দুল হাই বলেন, কলেজ ছাত্র এখন মৌলভীবাজার থানায় রয়েছে। তাকে সেখান থেকে নিয়ে আসতে পরিবারের সদস্যরা গিয়েছেন।