নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেটের বিশ্বনাথে উপজেলা পরিষদের সম্বন্বয় সভায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপি নেতা সুহেল আহমদ চৌধুরীর উপর হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। একই পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপি নেতা আহমেদ-নুর উদ্দিনকে প্রধান অভিযুক্ত করে ১১ জনের নাম উল্লেখ ও আরোও ১৫/২০ জনকে অজ্ঞাতনামা অভিযুক্ত করে শুক্রবার রাতে মামলাটি দায়ের করেন।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের সিও গোলাম কিবরিয়া বাদী হয়ে থানায় দায়ের করা মামলা নং ১৮ (তাং ২৭/১১/১৫ইং)। মামলার অন্যান্য অভিযুক্তরা হলেন- উপজেলা ছাত্রদলের (একাংশ) আহবায়ক শাহ আমির উদ্দিন, যুগ্ম আহবায়ক ওয়াসিম উদ্দিন, মোঃ শাহজাহান, সদস্য জসিম উদ্দিন, ছাত্রনেতা নিজাম, উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক জুয়াদ আলী, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মুসলিম আলী, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক দুলাল মিয়া, ছাত্রলীগ নেতা শামীম আহমদ, যুবদল নেতা ইসলাম উদ্দিন।

এদিকে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান-ভাইস চেয়ারম্যানের মধ্যে বিরাজমান বিরুধ স্থানীয় মুরব্বীরা আপোষ মিমাংশায় নিষ্পত্তি করার চেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও জানা গেছে। এর সত্যতা স্বীকার করে বিশ্বনাথ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন বলেন, উপজেলার ৮ ইউপির চেয়ারম্যানরা বিষয়টি আপোষ মিমাংশার চেষ্ঠা অব্যাহত রেখেছেন।
উপজেলা পরিষদের সম্বন্বয় সভায় চেয়ারম্যানের উপর হামলার ঘটনায় মামলা দায়েরের সত্যতা স্বীকার করেছেন বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) রফিকুল হোসেন।

প্রসঙ্গত, ‘টিআর-কাবিখা-এডিপি’ প্রকল্প রেজুলেশনে ‘অন্তর্ভূক্তি ও বাতিল’ করা নিয়ে উপজেলা পরিষদের সম্বন্বয় কমিটির সভায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপি নেতা সুহেল আহমদ চৌধুরী এবং ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপি নেতা আহমেদ-নুর উদ্দিনের মধ্যে বাগবিতন্ডা ও হাতাহাতির ঘটনার জের ধরে পরবর্তি সময়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সুহেল আহমদ চৌধুরীর উপর হামলা এবং জানাইয়া গ্রামবাসীকে নিয়ে কটুক্তির জের ধরে বৃহস্পতিবার বিকেলে দুই পক্ষের মধ্যে একাধিক বার ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ শর্টগানের ১১ রাউন্ড গুলি নিক্ষেপ করে। এতে ৩ জন গুলিবিদ্ধসহ প্রায় অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হন।